প্রচ্ছদ সারাদেশ চেয়ারম্যানের মেয়ের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ধরা পড়লো প্রেমিক, অতঃপর…

চেয়ারম্যানের মেয়ের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ধরা পড়লো প্রেমিক, অতঃপর…

সারাদেশ: প্রেমিকার ফোন পেয়ে প্রেমিক দেখা করতে গেলে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঈদের চতুর্থ দিন সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটে সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের সাংবাড়িয়া গ্রামে।

প্রেমিক একই জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের বাগ নলতা গ্রামের আবুল কালামের পুত্র ফারহান রাকিব এবং প্রেমিকা দেবহাটা উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সাংবাড়িয়া গ্রামের সাহেব আলী চেয়ারম্যানের মেয়ে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, প্রেমিক রাকিব এবং প্রেমিকার মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত সম্পর্ক চলছিল। রাকিব চাকরি পেয়ে ঢাকাতে চলে যান। পাঁচমাস পরে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসলে প্রেমিকা তাকে দেখা করার জন্য বলেন।

প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিয়ে প্রেমিক দেখা করতে যান বাড়িতে। সেখানে প্রেমিকার চাচা, ভাইদের কাছে ধরা খেয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার হন রাকিব।

রাকিব জানান, প্রেমিকার কল পেয়ে দেখা করতে গেলে কিছুক্ষণ কথা বলার পর তার চাচী দেখে ফেলার ভয়ে আমি ঘরে আশ্রয় নিই। আমি যে বের হবো তার কোন পথ ছিল না কারণ বাইরে থেকে ছিটকানি দেয়া ছিল। এর কিচ্ছুক্ষণ পর মেয়ের ছোট চাচা সাকিব, দুই ভাই সম্পর্কের আবির এবং নাইমুর রহমান দুর্জয় এসে আমাকে নির্মমভাবে পেটায়।

এক পর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি, জ্ঞান ফিরলে আবার আমাকে পিটায়। আমার শরীরের কোন জায়গায় বাদ রাখেনি পিটাতে। আমার পুরোপুরি জ্ঞান আসলে একজন চাচা আমাকে বলেন, বাবা তুমি চলে যাও কিন্তু আমি উঠে দাঁড়িয়ে হাঁটতে পারছিলাম না।

এরপর আমি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে বের হই তখনও তারা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমার আব্বাসহ লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

প্রেমিক রাকিবের বাবা আবুল কালাম বলেন, আমার ছেলেকে ডেকে দেখা করার কথা বলে সাহেব আলী চেয়ারম্যামের মেয়ে এবং আমার ছেলেকে অমানুষিকভাবে নির্যাতন করে। আমার ছেলেকে অনেক কষ্টে রাত আনুমানিক ২টার সময় উদ্ধার করি। আমার ছেলে যদি অন্যায় করে থাকে তার জন্য আইন আছে। আটকে রেখে আমাকে ফোন দিতে পারতো। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এই ব্যাপারে বিস্তারিত সত্যতা জানার জন্য চেয়ারম্যান সাহেব আলীকে কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মাহমুদ হাসান জানান, ঘটনাটি বরং উল্টো রাকিব ছেলেটি দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। এদিন মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেইলিং করে দেখা করতে বাধ্য করে। যা মেয়েটির পরিবার ও এলাকার লোকজন দেখে ফেললে ছেলেটিকে মারধর করে। তবে ছেলেটির পরিবার ও মেয়েটির পরিবার দুই দিকে থেকে অভিযোগ এসেছে। পুলিশ তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।