
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের সমাগমে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। উদ্যান আশপাশে ছড়িয়ে পড়েছে সমাবেশে আসা মানুষের সমাগম। মুল অনুষ্ঠান ও শুরু হয়ে গেছে।
সকাল থেকে মিছিলের স্রোত ঢুকছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে। বেলা বাড়ার সাথে ভরে যায় সমাবেশ স্থল।
আজ শনিবার দেখা গেছে বেশ কিছু অংশে বিরিয়ানি পরিবেশন করা হচ্ছে। লোকের জটলা দেখে মনে হয়েছিল হয়ত কেউ বা দলের পক্ষ থেকে ফ্রিতে দেয়া হচ্ছে আগ্রহ নিয়ে দেখতে যাই। কাছে গিয়ে দেখা যায় তার বিপরীত। বিরিয়ানি ফ্রি নয় কিনে খেতে হচ্ছে। কিনে খাচ্ছেন সবাই। প্রকার বেধে ৭০,১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে ঐতিহাসিক এই বিরিয়ানি। ক্রেতারা সুন্দরভাবে কোন রকম হৈছে ছাড়া কিনে খাচ্ছেন। ক্রেতারা বলেন সকালে নাস্তা আবার কেও বলেন দুপুরের খাবার খাচ্ছেন কাছে পেয়ে কিনে খেতে পেরে খুশি। খুশি হবার ই কথা একবার বের হয়ে আশে পাশের দোকানে গেলে আগের রাতে এসে জায়গা করে নেয়া অংশে ফিরে আসতে পারবেন না। বিক্রেতারা বেশ খুশি তারা বলেন সমাবেশে খেদমতের উদ্দেশ্যে কম লাভে বিরিয়ানি বিক্রি করছেন। একজন বিক্রেতা বলেন এ পর্যন্ত দশ ডেগ বিক্রী করেছি আরো অনেক রেডি আছে কোন ধরনের ক্লান্তি নেই সবাই কিনে কিনে টাকা পরিশোধ করে যাচ্ছেন। এছাড়া ক্রেতারা অত্যন্ত সৃঙখল ভাবে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন কোন ক্লান্তি নেই কোন ধরনের ঝামেলা নেই তাই দশ ডেগ বিক্রি করতে পেরেছি ইনশাআল্লাহ খেদমতের নিয়তে কম লাভে সুস্বাদু খাবার বিক্রি করতেছি। সমাবেশের আশে পাশে লোকে লোকারণ্য তিল ধারণের ঠাই নেই অনেকে অনেক ধরনের খাবারের দোকান নিয়ে এসেছেন। নেতা কর্মীরা তাদের চাহিদা মত কিনে খাচ্ছেন।
সকাল থেকে মিছিলের স্রোত ঢুকছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে। বেলা বাড়ার সাথে ভরে যায় সমাবেশ স্থল। এরপর তিল ধারণের ঠাঁই নেই। লোকজন ছড়িয়ে পড়েছে শাহবাগ, কাঁটাবন, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, পলাশী মোড়, হাইকোর্ট মোড়, মৎসভবন, কাকরাইল এলাকা জুড়ে। রমনা পার্ক প্রায় ভরে উঠেছে মানুষের আনাগোনায়। এখন সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠীর সঙ্গীত পরিবেশন করছে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার রাতেই সমাবেশকে কেন্দ্র নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। দলটি দাবি করেছে, ১০ লাখের বেশি মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করবে তারা।
‘লিল্লাহি তাকবির আল্লাহু আকবার’ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ ‘স্লোগান মুখরিত হয়ে উঠছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশ এলাকা।
জামায়াত জানায়, এই সমাবেশে তারা সাতটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দাবি তুলে ধরবে। দাবিগুলো হলো:- ২০২৪ সালের ৫ আগস্টসহ পূর্ববর্তী গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করা, রাষ্ট্রের সর্বস্তরে মৌলিক সংস্কার আনা, ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পুনর্বাসন, পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতিতে নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সমান সুযোগ ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
উল্লেখ্য, উদ্যানের বাহিরে অবস্থানরতদের জন্য সমাবেশ সরাসরি দেখার জন্য বিভিন্ন মোড়ে এলইডি মনিটর বসানো হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম এনডিএফ। শৃংখলা বজায় রাখতে স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করে যাচ্ছেন।