প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক প্রেমিকসহ মেয়েকে গলা কেটে খুন করে থানায় ফোন বাবা-ছেলের

প্রেমিকসহ মেয়েকে গলা কেটে খুন করে থানায় ফোন বাবা-ছেলের

দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তরুণীর। সেই সন্দেহ মাথাচাড়া দিতেই নিজের মেয়েকে খুন করে ফেললেন বাবা। তরুণীর ভাইও খুনে বাবাকে সঙ্গ দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে দূরসম্পর্কের ঐ আত্মীয়কে খুনের অভিযোগও উঠেছে। পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন দুজনই।

মঙ্গলবার ভারতের দিল্লির ভজনপুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণীর নাম সাইনা। তিনি আত্মীয় দানিশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার দুইজনের গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তরুণীর বাবা মুহম্মদ শাহিদ এবং তার ছেলে কুডুসকে।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে থানায় ফোন করে ঐ তরুণীর ভাই জানান, বোন এবং তার প্রেমিককে তিনি এবং বাবা মিলে খুন করে ফেলেছেন। তারা আত্মসমর্পণ করতে চান। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। রাম গলি এলাকার একটি বাড়ি থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, সাইনার গলায় গভীর ক্ষত রয়েছে। তার হাত এবং পা কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। ঐ বাড়িতেই পাওয়া যায় দানিশের মরদেহও। তার দেহেও একই ধরনের ক্ষত চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিশদ জানতে পারবেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ জানিয়েছে, দানিশের সঙ্গে লতায়পাতায় আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল ঐ তরুণীর। তিনি তরুণীর কাকা হতেন। দুজনের বয়সের ব্যবধানও ছিল ১৩ বছর। তরুণীর বাবা এবং ভাইয়ের সন্দেহ হয়, দানিশের সঙ্গে তাদের মেয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এই সম্পর্ক তারা মেনে নিতে পারেননি। তাই দুজনকেই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করা হয়েছে।