দেশজুড়ে: চট্টগ্রামে ডাস্টবিন থেকে শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মীর হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে নগরের কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে নগরের বাকলিয়া থানার বউবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।।
গ্রেফতারকৃত মীর হোসেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকার মোহাম্মদ গরীব হোসেনের ছেলে। এর আগে, সোমবার রাতে কোতোয়ালি থানার ফলমণ্ডি এলাকার একটি ডাস্টবিন থেকে শিশুর বস্তাবন্দি লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে তার পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সাত বছর বয়সী শিশুটির নাম সুখি। বাসা বাকলিয়ার বউবাজার এলাকায়। তার মা বিলকিস বেগম মানুষের বাসাবাড়িতে কাজ করেন। কাজের পর সন্ধ্যায় পরিত্যক্ত বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করেন। অন্যান্য সময়ের মতো রোববার রাতে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল এলাকায় বোতল কুড়ান বিলকিস বেগম।
একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মেয়েকে হাসপাতালের সামনে বসতে বলে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেট এলাকায় যান তিনি। সেখানে মানুষের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা চাইতে থাকেন। রাত ১টার দিকে মসজিদের উত্তর গেটের সামনে গিয়ে মেয়েকে সিঁড়িতে বসা অবস্থায় দেখতে পান বিলকিস বেগম। কিন্তু রাত দেড়টার দিকে একই জায়গায় গিয়ে মেয়েকে আর পাননি।
তাৎক্ষণিক আন্দরকিল্লা মোড়সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের সন্ধান পাননি মা বিলকিস বেগম। পরদিন সোমবার রাত ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানার বিআরটিসি ফলমণ্ডি এলাকায় ডাস্টবিন থেকে এক মেয়ে শিশুর বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া গেছে বলে বিভিন্নজনের কাছে জানতে পারেন। সেই খবরের ভিত্তিতে সেখানে গিয়ে মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন তিনি।
নগর পুলিশের এডিসি (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, মঙ্গলবার ভোরে বাকলিয়া থানার বউবাজার এলাকা থেকে মীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার কথা স্বীকার করেন তিনি।
জিজ্ঞাসাবাদে মীর হোসেন জানান, রাতের বেলা বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাঙারি মালামাল সংগ্রহ করে বিক্রি করেন তিনি। ঘটনার দিন রাতে আন্দরকিল্লা এলাকায় শিশুটিকে দেখতে পান মীর হোসেন। সেখানে শিশুটির সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। কথা বলার একপর্যায়ে তাকে চিপস কিনে দিয়ে টাইগারপাস এলাকায় বেড়াতে নিয়ে যাবেন বলে জানান। এরপর শিশুটিকে রিকশায় তুলে টাইগারপাস এলাকার রেলওয়ের পাহাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি। এতে শিশুটি অজ্ঞান হয়ে গেলে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করেন। পরে লাশটি বস্তাবন্দি করে ভ্যানগাড়িতে টাইগারপাস থেকে কোতোয়ালির ফলমণ্ডি এলাকায় নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি এসএম ওবায়দুল হক বলেন, মীর হোসেনকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি ভ্যানগাড়ি, একটি পাটের বস্তা ও একটি টুপরি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হলে সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |