
স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট গণহত্যা সংঘটিত হয় রাজধানীর চানখারপুল এলাকায়। ওই দিন ওই এলাকায় পুলিশ, বিজিবি ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলি-হামলায় বিপুলসংখ্যক মানুষ হতাহত হন।
সম্প্রতি চানকখারপুল এলাকায় গণহত্যার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা হতে দেখা যাচ্ছে। আলোচনার সূত্রপাত হয় রাজনীতিতে জাতীয় পার্টির বিতর্কিত কর্মকাণ্ড সামনে আসায়।রবিবার এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছে গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
ওই পোস্টে তিনি বলেন, ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুল হত্যাকাণ্ডের কথা নিশ্চয়ই সবারই মনে আছে। সেখানে পুলিশ-বিজিবি কিভাবে গুলি চালিয়েছিল সেটা দেশবাসী দেখেছে। সেই চানখারপুলের নির্দেশদাতা ছিলেন রমনা জোনের তৎকালীন এডিসি মাস্টারমাইন্ড শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম।
তার সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য- তার ডাকনাম বিপুল। তার শশুরের নাম মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। যিনি ২০১৭ এবং ২০২২ সালে রংপুর সিটি মেয়র নির্বাচিত হন এবং তিনি জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান। এই জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের দোসর, গত ১৫ বছর দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েমের মূল সহযোগী।
আবু হানিফ বলেন, এডিসি রমনা বিপুল চানখাঁরপুল এ ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেই ভিডিও দেশের সবাই দেখেছে। সেই বিপুলকে ক্ষমতাধর বানিয়েছে তার শশুর মোস্তাফিজ। একজন খুনি আরেকজন গণহত্যার মদদদাতা অথচ একজনও গ্রেপ্তার হয়নি। প্রকাশ্যে রাজনীতি করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অন্যদিকে মার্চ পর্যন্ত রংপুরে পরিবারের সাথে ভালো সময় কাটিয়েছেন বিপুল।
হয়তো শশুরের ক্ষমতাবলেই এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এরপর পালালে তার দায়ভার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং বর্তমান সরকারের। শুধু তারা নয় আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টির নেতাদের নামে হত্যা মামলা হলেও কাউকে আটক করছে না পুলিশ। এখন প্রকাশ্যে সেই জাপা মিছিল-মিটিং করছে, সেই মিছিলে যুক্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। সরকারের কাছে জানতে চাই এই ফ্যাসিনাদের দোসররা এখনো বাহিরে কিভাবে। আর এদের বাহিরের রেখে কাদেরকে বিচার করা হবে ট্রাইবুনালে?