
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলামের স্থগিত রাখা মাস্টার্সের ফলাফল ১২ বছর পর প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৩ সালে জালিয়াতির অভিযোগে তার ফলাফল আটকে দেওয়া হলেও সর্বশেষ ঘোষণায় তিনি বিভাগের প্রথম স্থান অর্জন করেছেন এবং সিজিপিএ ৪ (আউট অব ৪) পেয়েছেন। স্নাতকেও তিনি ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট ছিলেন।
রফিকুল ইসলাম ২০০৭–০৮ সেশনের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রজীবনে রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের শিক্ষা সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি সৌদি আরবের কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. হাসনাত কবীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এমএসসি (থিসিস গ্রুপ) পরীক্ষা–২০১২-এর ফলাফল অস্থায়ীভাবে প্রকাশ করা হয়েছে, যা সিন্ডিকেট অনুমোদনের পর কার্যকর হবে। প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফলাফল সংশোধন বা বাতিল করতে পারবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ফলাফল প্রকাশের পর রফিকুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও শিক্ষকদের অন্তর্কোন্দলের কারণে তার বিরুদ্ধে থিসিস জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছিল, যা তার পরিবারকে বড় ধাক্কায় ফেলেছিল। দীর্ঘদিন মানসিক যন্ত্রণার ভেতর থাকার পর এই ফলাফল তার জীবনের অন্যতম আনন্দের সংবাদ বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও জানান, অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হলেও মাস্টার্সে ভর্তি হতে গিয়ে একাডেমিক হয়রানির শিকার হয়েছেন। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উইকেন্ড প্রোগ্রামে মাস্টার্স শেষ করে চীনে গিয়ে আরেকটি মাস্টার্স সম্পন্ন করেন এবং পরে পিএইচডিতে ভর্তি হন।
তার ফল প্রকাশে রাকসুর ভিপি ও শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি লিখেছেন, ১২ বছর ধরে স্থগিত থাকা ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে রফিকুল ইসলামের ওপর হওয়া “জুলুমের” অবসান হলো। তিনি দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে বহু ছাত্রশিবির কর্মী একাডেমিক হয়রানির শিকার হয়েছে এবং অনেকেই পড়াশোনা শেষ করেও সার্টিফিকেট তুলতে পারেননি।
সূত্র : বিডি২৪লাইভ












































