
জাতীয়: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্যের (ভিসি) কাছে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন এক তরুণী। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভিসির ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে মেসেজ পাঠিয়ে এই অনুরোধ জানান তিনি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করলে ভিসির মানহানি হবে উল্লেখ করে ভিসির পক্ষে ইবি থানায় জিডি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ. এম আলী হাসান। জিডি নং-১০২১।
জিডি সূত্রে, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বেলা আনুমানিক ১১টায় ভিসির মোবাইল নাম্বারে মিথি নামে এক তরুণী ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে একটি চাকুরি প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে মেসেজ পাঠিয়েছেন। তরুণী ভিসির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে জোরাজুরি করেন। তবে ভিসি কথা বলতে না চাইলে তিনি মোবাইল নাম্বারে মেসেজ পাঠিয়ে চাকরি দেয়ার অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, কোনো একটি মহল আমাকে ফাঁসানোর জন্য কাজটি করতে পারে। তাই এই ঘটনার পরপরই থানায় জিডি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইবির ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের ‘কণ্ঠসদৃশ’ নিয়োগ বাণিজ্য ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত ডজন খানেক অডিও রেকর্ড ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। গেল বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১৪ টি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অডিওগুলোতে নিয়োগ বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়, আর্থিক লেনদেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে নেতিবাচক কথা উঠে আসে।
অডিও ফাঁসের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ২০২৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ইবি থানায় জিডি করা হয়। পরবর্তীতে ২০ ফেব্রুয়ারি গোপন ডিভাইসের খোঁজে ভিসির কার্যালয়ে ও বাসভবনে তল্লাশি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর ভিসির বিরুদ্ধে উত্থাপিত নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ইউজিসির পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ভিসির বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে কাজ করছে তদন্ত কমিটির সদস্যরা।