প্রচ্ছদ জাতীয় হাসিনা আপার ‘টুস’ করে ঢুকে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে

হাসিনা আপার ‘টুস’ করে ঢুকে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে

হাসিনা আপার ‘টুস’ করে ঢুকে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমেরিকার সবচেয়ে অত্যাধুনিক অস্ত্র, বিমান, কামান, গোলাবারুদ এখন তালেবানরা চালাচ্ছে। এগুলো বাংলাদেশ আর্মিকে যদি চালাতে বলা হয়, বলেন তো কতদিনের ট্রেনিং লাগবে?’

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিওতে তিনি বলেন, আমেরিকার রেখে যাওয়া অস্ত্রশস্ত্রগুলো জোড়া তালি দিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র এখন তালেবানদের হাতে। তারা যদি সেগুলো নিয়ে যুদ্ধ করে, তাহলে তারা অনেকের মানচিত্র পাল্টে দিতে পারে।

এই অল্প সময়ের মধ্যে তাদের আফগানি মুদ্রা ডলারকে বিট করে।’ ‘সেই আফগানিস্তানের সঙ্গে যদি পাকিস্তানের এই মুহূর্তে যুদ্ধ বাধে, সেই যুদ্ধের পেছনে মূলত পাকিস্তানকে উসকে দিচ্ছে আমেরিকা। এখন আমেরিকা পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী এক বেল্ট। সেখানে এই বেল্টের সঙ্গে তাদের দ্বিতীয় অপশন হলো বিএনপি।

আবার আফগানিস্তানের যুদ্ধে যদি তারা অংশগ্রহণ করে তাহলে আরেকটা বলয় তৈরি হয়ে যাবে; ভারত, আফগানিস্তান, রাশিয়া, চীন। চীন এখানে নিউট্রাল ভূমিকা পালন করবে। যেহেতু পাকিস্তান তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, কাজেই সে দুই পক্ষের কাছে অস্ত্র বিক্রি করবে এবং দুই পক্ষের কাছ থেকে অর্থনৈতিক বেনিফিট নিয়ে নেবে।’
‘আপনি বাংলাদেশে দেখেন, ইতিমধ্যে মামুনুল হক এখন বিএনপির সঙ্গী।

তিনি কিন্তু পাকিস্তান যাননি। তিনি গিয়েছেন আফগানিস্তানে। কারণ হলো, সেখানে তারা যে তালিবানী বিপ্লবটা করেছে, যে সরকার ব্যবস্থা তারা সেখানে চালাচ্ছে, আমাদের দেশে যদি কওমি লাইনের মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা ধরেন; সেটা মূলত আসলে তালিবানী শিক্ষা। যেটা আফগানিস্তান মডেল।’
রনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে যে তালিবান আছে, সেই তালিবানের শাখাটি পাকিস্তানে তেহরিকে তালেবান; তেমনি জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান, তাদের অঙ্গ সংগঠন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।

তো তালেবান অব পাকিস্তান সংগঠনটি এখন পাকিস্তানের সীমান্তের জন্য একটা হুমকি হয়ে গেছে। এ কারণে তারা বারবার আফগানিস্তানকে বলছে যে তোমরা ওটা বন্ধ করো। আমরা যেভাবে ভারতকে বলেছি, আওয়ামী লীগকে থামাও, শেখ হাসিনাকে থামাও।’ ‘তো এসব বিষয় নিয়ে আমরা মনে করছি যে জামায়াতের নেতৃত্বে হেফাজত সব এক হয়ে যাবে। কিন্তু এই কওমি মাদ্রাসার যারা ছাত্র-শিক্ষক রয়েছেন, এমনকি তাবলীগের যারা রয়েছেন; তারা সবাই পাকিস্তানবিরোধী হয়ে পড়বে এবং সবাই তালেবানদের পক্ষে যোগ দেবে। এরপর সবাই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে বাধ্য হবে। আর ভারতের সঙ্গে যদি বন্ধুত্ব হয় বা ভারত যদি এখানে আরো সুবিধাজনক অবস্থায় আসে, প্রতিদিন হাসিনা আপার ‘টুস’ করে ঢুকে পড়ার যে হুমকি সেটা বাড়বে। সেক্ষেত্রে রাজনীতির যে হিসাব সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাবে। নতুন করে রাজনীতির হিসাব আবার কষতে হবে।’