
জাতীয়: কুড়িগ্রামে তীব্র গরম ও রমজানের শেষ মুহুর্তে সেহরী আর ইফতারের সময় নতুন ভোগান্তির নাম বিদ্যুৎ লোডশেডিং এমন আলোচনা ও সমালোচনায় ভারী হয়ে উঠছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এদিকে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।
দুর্ভোগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা। জেলা সদর ও গ্রাম এলাকার গ্রাহকরা জানান ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। একাদিক গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যুৎ আসলে এক ঘণ্টা আর গেলে কয়েক ঘণ্টা পরে আসে এভাবেই চলে বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার খেলা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিরত রোগীদেরকে হাত পাখার বাতাস করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে রোগীর পাশে থাকা স্বজনরা।
রাজারহাট উপজেলার সাব্বির হোসেন জানান, তার ১৩ মাস বয়সের ছেলে মিনহাজকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি, শিশু মিনহাজ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বিদুৎ লোডশেডিংয়ের কারনে তাকে নেবুলাইজার দিতে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড মানবিক বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থী কল্পনা জানান, আগামী ৩০ জুন পরীক্ষা শুরু, একদিকে গরম অপর দিকে বিদ্যুৎ লোডশেডিং সমস্যায় লেখা পড়ায় চরম বিঘ্ন ঘটছে।
নাগেশ্বরীর ভিতরবন্দ ইউনিয়নের বাসিন্দা ভোলা জানান, দিনে ও রাতে বেশ কয়েকবার লোডশেডিং হয়। আমরা মাঝে মাঝে ইফতারের সময় ও সেহেরির সময়ও বিদ্যুৎ পাইনা।
অন্যদিকে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে জড়িতরা বলছেন, প্রতিদিন ৪-৫ বার ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে তাদেরও সমস্যা হচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ লাইনে। এ বিষয়ে নাগেশ্বরী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যান নাম প্রকাশ না করে ০৫-০৪-২৪ রাত ১২.১৮ মিনিটে বলেন, বিদ্যুৎ একদম নেই! কোথা থেকে বিদ্যুৎ দেবো। লোডশেডিং চলছে। ভিতরবন্দ লাইনে কখন বিদ্যুৎ আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেহেরির পরে হয়তো পেতে পারেন।