
বরিশাল বিভাগের পাঁচটি আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। ধারণা করা হচ্ছে, এসব আসন জোট বা সমমনা দলগুলোর জন্য ছেড়ে দিতে পারে দলটি। তবে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, এমন সিদ্ধান্ত হলে বরিশাল অঞ্চলে ধানের শীষের সম্ভাবনাময় আসনগুলোতে ভরাডুবির ঝুঁকি তৈরি হবে। কারণ, শরিক দলের যেসব নেতার নাম শোনা যাচ্ছে, তাদের বেশিরভাগকেই এলাকার মানুষ ভালোভাবে চেনেন না।
বিশেষ করে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনটি এখন আলোচনার কেন্দ্রে। এ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান ছাড়া আরও দুজন মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন—বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুলাদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুস সাত্তার খান।
অন্যদিকে, শরিক দল এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের নামও শোনা যাচ্ছে এই আসনে। তার বাড়ি বাবুগঞ্জে হলেও স্থানীয়দের অনেকে বলছেন, ৫ আগস্টের আগে পর্যন্ত তাকে তেমন কেউ চিনতেন না। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি এলাকায় সক্রিয় হয়েছেন বটে, কিন্তু ধানের শীষের বদলে এবি পার্টির ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়লে ভোটের মাঠে তিনি কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতাদের আশঙ্কা, এই আসনে দলীয় প্রার্থী না দিলে বিদ্রোহ দেখা দিতে পারে। কারণ, বরিশাল-৩ বিএনপির দীর্ঘদিনের ঘাঁটি, যেখানে দলের নেতারা শক্ত অবস্থানে রয়েছেন।
এর পাশাপাশি জামায়াতও এখানে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর ইতিমধ্যে প্রচারণা শুরু করেছেন, যা বিএনপির জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, ‘নতুন একটা প্রতীক মানুষকে চিনতে শেখাতেই তো বছর পেরিয়ে যাবে। এই আসনে জয় নিশ্চিত করতে হলে ধানের শীষের বিকল্প নেই।’
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বরিশাল-৩ আসনে যদি বিএনপি জোট শরিককে আসন ছেড়ে দেয়, তবে তা হবে দলের জন্য বড় ঝুঁকি। আর যদি সেলিমা রহমান বা জয়নুল আবেদীনের মতো অভিজ্ঞ নেতাদের একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে ধানের শীষ পুনরায় ভোটযুদ্ধে শক্ত অবস্থানে ফিরতে পারে।
সূত্র: যুগান্তর













































