প্রচ্ছদ হেড লাইন সিজিআই স্টেজে ড. ইউনূসের পাশে অনুপ্রবেশকারী, যা বললেন মাহফুজ আলম

সিজিআই স্টেজে ড. ইউনূসের পাশে অনুপ্রবেশকারী, যা বললেন মাহফুজ আলম

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের কথা তুলে ধরেন তিনি। এ সময় তার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমসহ দুইজনকে স্টেজে ডেকে এনে আন্দোলনে তাদের ভূমিকা তুলে ধরেন। তবে স্টেজে আসা অন্য আরেকজনকে নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মাহফুজ আলম।

তিনি লেখেন, সিজিআইয়ের অনুষ্ঠানের ওই ব্যক্তি অনুপ্রবেশকারী এবং অসৎ লোক। তার এ অনুপ্রবেশ নাশকতার অংশ। ওই ব্যক্তি নিজস্ব ক্ষমতাবলে সিজিআই ইভেন্টে যোগ দিয়েছেন। আমরাসহ ডেলিগেটরা তার উপস্থিতি ও উদ্দেশ্য জানতাম না। এমনকি সে ডেলিগেটদের কারও সঙ্গে যোগাযোগও করেনি।

তিনি আরও লেখেন, স্যার আমাদের মঞ্চে ডাকলে হুড়মুড় করে আমাদের আগে মঞ্চের দিকে দৌড়ে আসেন ওই ব্যক্তি। আমি তাকে মঞ্চে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে পারিনি, যদিও আমি সন্দেহজনক ছিলাম। এছাড়া বিশ্বনেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে আমি অসহায় ছিলাম। এটি ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর অন্তর্ঘাতের একটি পূর্ব-পরিকল্পিত কাজ।

আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের নেতারা, সমন্বয়কারী ও যোদ্ধাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা জানিয়ে মাহফুজ লেখেন, আমরা তার অনুপ্রবেশ রোধ করতে পারিনি। আমরা আগামী দিনে গণঅভ্যুত্থান এর প্রতিনিধিত্ব সম্পর্কে খুব সতর্ক থাকবো।

জানা যায়, ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের পাশে স্টেজে থাকা ওই ব্যক্তি আওয়ামী লীগের সাবেক এক সংসদ সদস্যের ভাতিজা। এদিকে সজিব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গ দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক থাকা আজিজ আহম্মেদও ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ পোগ্রামে ড. ইউনূসের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। এ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।