
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমকে বান্দরবানে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। বান্দরবানকে ‘শাস্তির জায়গা’ বলায় পার্বত্য অঞ্চলের প্রতি অবমাননা করা হয়েছে উল্লেখ করে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। জেলা নিয়ে এমন মন্তব্যের কারণে তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ‘ছাত্রসমাজ’।
আজ রবিবার দুপুরে বান্দরবান প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ।
সরাজিস ক্ষমা না চাইলে এনসিপির সব কার্যক্রম ‘সম্পূর্ণভাবে অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরিষদের সহসভাপতি মাহির ইফতেখার, খালিদ বিন নজরুল, জুবায়ের ইসলাম, আসিফ ইসলাম প্রমুখ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ নেতারা সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৩ জুলাই পঞ্চগড়ে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ চলাকালে এক বক্তব্যে সারজিস বান্দরবানকে ‘শাস্তিস্বরূপ চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পাঠানোর জায়গা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। ছাত্রনেতাদের ভাষ্য, এই মন্তব্য চরম নিন্দনীয় ও অবমাননাকর।
এটি শুধু বান্দরবানের নয়, গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামের মর্যাদাকে হেয় করার শামিল। এটি রাষ্ট্রীয় বৈষম্য ও অবহেলার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ বলেও মন্তব্য করেন তারা।
আসিফ ইসলাম বলেন, এনসিপির পক্ষ থেকে ১৯ জুলাই বান্দরবানে আয়োজিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ অনুষ্ঠানে সারজিস জনসমক্ষে ক্ষমা চাইবেন বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না এবং কোনো কেন্দ্রীয় নেতাও এ বিষয়ে কিছু বলেননি।
সারজিস আলম প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বান্দরবানে এনসিপির সব কার্যক্রম ও উপস্থিতি অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
যেসব সরকারি কর্মকর্তা ‘শাস্তির বদলি’ হিসেবে এখানে বহাল রয়েছেন, তাদের দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।