সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে চলা আন্দোলনের মধ্যেই ১০ শতাংশ ধর্মীয় কোটা চালু করার বিষয়ে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন তিনি।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, এ দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা পিছিয়ে আছেন। যদি কোটা সংস্কার করতে হয়, তাহলে সব চাকরিতে ১০% ধর্মীয় সংখ্যালঘু কোটাও বিবেচনা করা উচিত।
পোস্টের মন্তব্যের অংশে তিনি আরো লিখেছেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কর্মকমিশন বরাবর যৌক্তিক হারে কৃষক-শ্রমিক মেহনতী মানুষের সন্তানদের জন্য কোটা ও পিছিয়ে পড়া ধর্মীয় সংখ্যালঘু কোটা চালুর দাবিতে শিগগিরই স্মারকলিপি দেবে।
পিএসসির বরাতে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন রিপোর্ট ২০২০ অনুসারে বিগত ৩৫-৩৯তম বিসিএস পাঁচটা নিয়োগ পরীক্ষার পরিসংখ্যান : মোট নিয়োগ ১৪,৮১৩ জন, মেধা কোটা ৯,৮১৮ জন (৬৬.২%), জেলা কোটা ২,১২৪ জন, মহিলা কোটা ১,৪২৬ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ১,২৯৮ জন (৮.৭%), ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা ১৩১ জন, প্রতিবন্ধী কোটা ১৬ জন। আশা করছি এই পরিসংখ্যান অনেক কিছুই পরিস্কার করবে!’
অধ্যাপকআ ক ম জামাল উদ্দীনের ওই পোস্টে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ৯ শতাধিক ফেসবুক ব্যবহারকারী। আর মন্তব্য এসেছে ১৫৪টি। মন্তব্যকারীদের অধিকাংশকেই এ পোস্টের সমালোচনা করতে দেখা গেছে।
এর আগে গত ২৬ জুন রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশন চলাকালে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার যৌক্তিকতা বোঝাতে পবিত্র কোরআনের সুরা আনফালের একটি আয়াতকে ‘প্রমাণ’ হিসেবে দেখিয়ে বক্তব্য দেন ঢাবির এই অধ্যাপক।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |