
সম্প্রতি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা জানান, অর্থ বরাদ্দ চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে রাখা হবে, যাতে নতুন পে স্কেল আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল থেকে বাস্তবায়িত হতে পারে।
তাই কার্যকর ও ন্যায়সঙ্গত বেতন কাঠামোর সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে জাতীয় বেতন কমিশন বা পে কমিশন অনলাইনে মতামত গ্রহণ শুরু করেছে। এ উদ্দেশ্যে চারটি ক্যাটাগরিতে চারটি প্রশ্নমালা প্রস্তুত করা হয়েছে।
ফলে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা কেমন হওয়া উচিত, সে বিষয়ে এবার মতামত দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন সাধারণ নাগরিকরা। বাড়িভাড়া, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ভাতা বাড়ানো প্রয়োজন কি না, তাও জানাতে পারবেন অংশগ্রহণকারীরা। গত (২ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া এ জরিপ চলবে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দেশের যেকোন নাগরিক এতে অংশ নিতে পারবেন।
মতামত জানাতে সাধারণ নাগরিকের নাম, পেশা, বয়স, মোবাইল নম্বর, লিঙ্গ এবং বাসস্থানসহ ৩৫টি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছে।
জরিপে সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী, সরকারি প্রতিষ্ঠান, অ্যাসোসিয়েশন ও সমিতি—এ চার শ্রেণির ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান জরিপে অংশ নিতে পারবে। অ্যাপ্লিকেশনের লিংকটি জাতীয় বেতন কমিশনের ওয়েবসাইটে (paycommission 2025.gov.bd) পাওয়া যাবে।
মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সরকারি কর্মচারীর বেতন সমন্বয় করতে গত ২৭ জুলাই ২৩ সদস্যের ‘জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫’ গঠন করে সরকার। বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সরকারের কাছে সুপারিশ দেবে এ কমিশন। কর্মচারীর পরিবারের সদস্য ছয় জন ধরে আর্থিক ব্যয় হিসাব করতে বলা হয়েছে। আজকের প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেবে কমিশন।









































