
খেলাধুলা: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের প্রথম ম্যাচে বোলারদের কল্যাণে শ্রীলঙ্কাকে অল্প রানে আটকে ফেলে বাংলাদেশ। কিন্তু মামুলি সংগ্রহ টপকাতে গিয়ে পদে পদে হোঁচট খেয়েছে টিম টাইগার্স। শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কল্যাণে পরাজয়ের শঙ্কায় থাকা ম্যাচ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
দলকে এমন অসাধারণ জয় পাইয়ে দেয়ার পর প্রশংসায় ভাসছেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। বিশ্বের বড় বড় ক্রিড়া বিশ্লেষকরাও তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সকলের সেই কাতারে এবার যুক্ত হয়েছে তারই জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ ইমরুল কায়েস। ম্যাচ শেষে তাই তো ‘সাইলেন্ট কিলার’ প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ডিসকাশন এন্ড রিভিউ নামক একটি শো’য়ে আলোচনায় ইমরুল কায়েস বলেন, দেখেন অভিজ্ঞতা অনেক বড় ব্যাপার। মাহমুদউল্লাহ ভাইয়ের জায়গায় এখানে যদি অন্য কেউ থাকতো, যদি কোনও টপ অর্ডার ব্যাটার থাকতো বা প্রোপার মিডল অর্ডার ব্যাটার থাকতো, তাহলে স্নায়ুর ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়তে পারত এবং বাংলাদেশ ম্যাচটি হেরে যেত। এখানে রিয়াদ ভাই আবার প্রমাণ করেছে যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাই স্টিল এলাইভ…সে এখনও শেষ হয়নি। আমি মনে করি উনি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ফিনিশার।
তার মতো ব্যাটার বাংলাদেশে এখনও তৈরিই হয়নি উল্লেখ করে ইমরুল আরও বলেন, এরকম ব্যাটার আমাদের এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি। রিয়াদ ভাই যেভাবে ২০২৩ বিশ্বকাপ থেকে খেলে যাচ্ছে, আমি তাকে লক্ষ্য করেছি… আমার সঙ্গে সে একসঙ্গে ঘরোয়াতে খেলেছে… বিপিএলেও দেখেছি, তার ব্যাটিংয়ের যে নিবেদন, সেটা পুরোই আলাদা। এটা আমার মনে হয় অভিজ্ঞতা থেকেই তৈরি হয়েছে। দেখুন একটা ছেলে অনেকদিন খেলতে থাকলে তার নিজের জন্য কোনো চিন্তা থাকে না। সে চিন্তা করে, আমার কিছুই পাওয়ার নেই, আমি যা করব দলের জন্য।
রিয়াদ ভাই নিজের চাইতে দলের জন্য চিন্তা বেশি করছে উল্লেখ করে সাবেক এই টাইগার ওপেনার আরও বলেন, ওই জায়গা থেকে সে ম্যাচগুলো খেলছে। এগ্রেসিভ ব্যাটিং করছে। তাকে আমি কখনো দেখি না এগ্রেসিভ ব্যাটিং করতে, প্রথম বল থেকে। সে আগের ক্যারেক্টার থেকে বের হয়ে এসেছে। সে নতুন ভূমিকা পালন করছে। এটা দলের জন্য বড় ব্যাপার। এই জায়গা থেকে আমরা রিয়াদ ভাইয়ের কাছ থেকে ভালো স্ট্রাইক রেট পাচ্ছি।
ইমরুল আরও বলেন, আমার কাছে মনে হয় এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ, যদি ভুল না বলি। ওনার ক্যারিয়ারের বিল্ড আপ করার কিছু নেই। এজন্য উনি ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলছেন। শেষ বিপিএল থেকে দেখেছি উনি খেলাটাকে পরিবর্তন করেছেন। একজন টি-টোয়েন্টির বিশেষজ্ঞ ব্যাটারের মতো খেলছে, এসে শুরু থেকেই মারছে। ইমপ্যাক্টফুল ইনিংস খেলছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছর স্বপ্নের মতো কাটাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। চলতি বছর এখন পর্যন্ত খেলা ১১ ম্যাচের ৮ ইনিংসে ব্যাটিং করে ৩৮.৬০ গড়ে এবং ১৪২.৯৬ স্ট্রাইক রেটে ১৯৩ রান করেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে থেকেই অসাধারণ ছন্দে আছেন ৩৮ বছর বয়সী এই ব্যাটার।