অন্যরকম: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নে শশুর বাড়ি থেকে তাসনুর আক্তার মুন্নি (১৯) নামের এক তরুনীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ঐ তরুনীর স্বামী মোঃ রিয়াজ সহ পুরো পরিবার। গত ৯এপ্রিল রাতে নলডগি গ্রামের সর্দার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবারের দাবি মুন্নিকে হত্যা করে তার শশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) মুন্নি হত্যার বিচার দাবি করে সাংবাদিকদের এসব বলেন তারা। নিহত তরুনী নোয়াখালী সদর উপজেলার ২০নং আন্ডার চর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে। জানা যায়, ১৮মাস আগে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের নলডগি গ্রামের নাজাল হকের ছেলে মোঃ রিয়াজের সাথে পারিবারিক ভাবে তাসনুর আক্তার মুন্নির বিবাহ হয়। বর্তমানে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহত মুন্নির পরিবার বলেন, বিয়ের পর থেকে মুন্নির স্বামী মোঃ রিয়াজ বিভিন্ন ভাবে টাকা দাবি করতো। টাকা না পেলে মুন্নিকে শারীরিক নির্যাতন করতো। এছাড়া মৌসুমি ফল সহ বিভিন্ন জিনিস পত্রের জন্য চাপ প্রয়োগ করতো। এছাড়া মুন্নির দেবর আলমগীর নানান ভাবে কুপ্রস্তাব দিতো মুন্নিকে। কিন্তু মুন্নি রাজি না হওয়ায় আলমগীর মানষিক নির্যাতন করতো। ঘটনার দিনও মুন্নিকে তার শশুর বাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে। মুন্নি আত্নহত্যা করে নি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে রিয়াজের বাড়িতে গেলে ঘর তালা বদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায় নি। স্থানীয়রা জানান ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল হোসেন বলেন, রাতে রিয়াজ ও তার পরিবারের লোকজন আমার বাড়িতে এসে জানান মুন্নি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। আমি তাৎক্ষণিক পুলিশে খবর দেই। এছাড়া মুন্নির পরিবারকেও বিষয়টি জানাই। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেছে। এরপর থেকে রিয়াজ ও তার পরিবার পলাতক রয়েছে।চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও আসে নি। রিপোর্ট পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |