কুমিল্লার ১১টি সংসদীয় আসনে প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। এদিকে শিগ্গিরই মনোনয়ন সিগন্যালের খবরে নেতাকর্মীদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা এবং সুনসান নীরবতা চলছে। পছন্দের মনোনয়নপ্রত্যাশীর খোঁজখবর রাখছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপির ভোটব্যাংকখ্যাত কুমিল্লা জেলায় দলটির মনোনয়নই কঠিন একটি স্তর। এ দলের মনোনয়ন পেলে ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই নিশ্চিত। ফলে দলের মনোনয়ন এখন সোনার হরিণ। ইতঃপূর্বে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দীর্ঘদিন এলাকায় অবস্থান করে সম্মেলন, কমিটি গঠন, তৃণমূলের বিরোধ নিরসন এবং ৩১ দফা বাস্তবায়নে সভা-সমাবেশে ব্যস্ত ছিলেন। এক সপ্তাহ ধরে সব নেতাই ঢাকায় অবস্থান করছেন। জেলার অর্ধশতাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী মনোনয়ন নামক সোনার হরিণ পেতে এখন মরিয়া।
দলীয় সূত্র জানায়, কুমিল্লা-১ আসনে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ছাড়া বাকি ১০টি আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। শুধু ঢাকায় নয়, দল ও জোটের একাধিক নেতা এ মুহূর্তে লন্ডনে রয়েছেন। সেখানে তারেক রহমানের কাছের লোকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। তবে দলীয় সূত্র জানায়, ইতঃপূর্বে বিএনপি বেশ কয়েকটি ক্রাইটেরিয়ায় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মাঠ জরিপ সম্পন্ন করেছে। দলের হাইকমান্ডের কাছে তাদের আমলনামা রয়েছে। এখন মাঠ জরিপ ও আমলনামার চূড়ান্ত বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আক্তারুজ্জামান সরকার বলেন, দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা যার যার অবস্থান থেকে চেষ্টা করবে, এটাই স্বাভাবিক। চলতি মাসের মধ্যে মনোনয়নের বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে নির্দেশনা আসতে পারে বলে আমরা শুনেছি। যার ফলে আশাবাদীরা তাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, আমরা যতটুকু জানি, দল এবার ১৬ বছরের ত্যাগ ও দায়িত্ব বিবেচনা করে মনোনয়ন দেবে। লবিং-তদবিরে এবার মনোনয়ন নাও হতে পারে। এছাড়া প্রার্থী ঘোষণার আগ পর্যন্ত যারা মনোনয়নপ্রত্যাশী, তারা সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করতেই পারেন।
কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া বলেন, এবার যোগ্য, ত্যাগী ও জনপ্রিয় প্রার্থীরা মনোনয়ন পাবেন। লবিং-তদবিরে নয়, মাঠ জরিপের ওপর নির্ভর করে মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
সূত্র: যুগান্তর
