বাংলাদেশ: সারাদেশে চলছে টানা শৈত্যপ্রবাহ। ভোর, সকাল কিংবা দুপুর গড়িয়ে বিকেল, কুয়াশার চাঁদর ভেদ করে সূর্যের দেখা মেলা ভার। হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত। শিশু-বৃদ্ধদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে শীতজনিত নানান রোগের প্রকোপ। শিক্ষপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা না-রাখার বিষয়েও গভীর ভাবছে সরকার। আবহাওয়া নিয়ে আপাতত কোনো সুখবর দিতে পারছে না অধিদপ্তর, এমনকি সারাদেশে আগামী ৭২ ঘণ্টায় শীত, বৃষ্টি ও কুয়াশার দাপট অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়েছে সংস্থাটি। অনেকেরই মনে প্রশ্ন শৈত্যপ্রবাহ কী? কেন হয় এটা?
সহজ করে বলতে গেলে, আমাদের দেশের শীতের বড় একটা কারণ উত্তরের হিমেল হাওয়া। হিমালয়ের পাদদেশ থেকে এই হাওয়া এসে বাংলাদেশে শীত নামায়। উত্তুরে হাওয়া এ দেশে প্রবেশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে। ফলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই নিচে নেমে যায় এ সময়। এরই ফলে এদেশে শীত পড়ে। শীত পড়া মানেই শৈত্যপ্রবাহ নয়। ক্রমাগত উত্তুরে বাতাস এদেশের তাপমাত্রা কমাতে থাকে। তাপমাত্রা কমে যখন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়, সেটাকে তখন শৈত্যপ্রবাহ বলে।
শৈত্যপ্রবাহের চারটি ধরন আছে— মৃদু, মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র। শীতকালে তাপমাত্রা কমে যখন ৮-১০ ডিগ্রির মধ্যে অবস্থানে করলে সেটাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা যখন ৬-৮ ডিগ্রিতে নামলে সেটাকে তখন মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলে। তাপমাত্রা যদি ৪-৬ ডিগ্রিতে নামলে সেটাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ! তাপমাত্রা যদি ৪ ডিগ্রির নিচে নেমে যায়, তাহলে সেটাকে বলে অতি শৈত্যপ্রবাহ। তবে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেই সেটাকে শৈত্যপ্রবাহ বলা যাবে না, যদি না তিন দিন টানা স্থায়ী এই তাপমাত্রা। বাংলাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ শৈত্যপ্রবাহগুলো সাধারণ ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |