
ভারতের বহুল আলোচিত পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (পিএনবি) কেলেঙ্কারির অন্যতম সন্দেহভাজন নেহাল দীপক মোদিকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১৪ হাজার কোটি রুপি জালিয়াতির এই মামলায় তার গ্রেপ্তারকে বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছে ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলো।
শুক্রবার (৪ জুলাই) মার্কিন কর্তৃপক্ষ ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে। ভারত সরকারের অনুরোধেই এই গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। নেহাল মোদি বেলজিয়ামের নাগরিক হলেও অভিযোগ রয়েছে, পিএনবি কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত ও তার ভাই নীরব মোদিকে পালাতে সহায়তা করেছিলেন তিনি। এছাড়া প্রমাণ গোপন, তদন্তে বাধা সৃষ্টি এবং অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দাবি, কেলেঙ্কারির পর নেহাল মোদি ভুয়া কোম্পানি ও বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি রুপি পাচার করেন। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এই কেলেঙ্কারি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। এতে নীরব মোদির বিরুদ্ধে ৬,৪৯৮ কোটি এবং তার মামা মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে ৭৮০ কোটি রুপি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
তবে কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার আগেই নীরব ও মেহুল দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এখন নেহাল মোদির গ্রেপ্তারের পর তার ভারতে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ জুলাই। তার জামিনের আবেদন করা হতে পারে, যদিও মার্কিন প্রসিকিউশন তা প্রতিরোধের পক্ষে ইতিমধ্যেই অবস্থান নিয়েছে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মনে করছে, এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে পিএনবি কেলেঙ্কারির তদন্তে নতুন দিক উন্মোচিত হবে। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে কি না, তা নির্ভর করবে ১৭ জুলাইয়ের শুনানির ওপর।