প্রচ্ছদ অপরাধ ও বিচার বিয়ের জন্য চাপ দিতেই লিভ-ইন পার্টনারকে খুন! ৮ মাস পর দেহ উদ্ধার...

বিয়ের জন্য চাপ দিতেই লিভ-ইন পার্টনারকে খুন! ৮ মাস পর দেহ উদ্ধার ফ্রিজ থেকে

একটি ফ্ল্যাটের ফ্রিজ থেকে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পরনে ছিল শাড়িসহ বিভিন্ন গয়না। তার হাত বাঁধা ছিল এবং গলায় রশি ঝুলানো। স্থানীয় পুলিশ জানায়, হত্যার শিকার ওই নারীর নাম পিঙ্কি প্রজাপতি। সম্ভবত তাকে গত বছর জুনে হত্যা করা হয়েছিল। গতকাল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ভারতের মধ্যপ্রদেশের দিওয়াস জেলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন অভিযুক্ত সঞ্জয় পতিদার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার একমাত্র সন্দেহভাজন সঞ্জয় মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়ন জেলার বাসিন্দা। বিবাহিত এই পুরুষের পরকীয়া প্রেমিকা ছিলেন ৩০ বছর বয়সী পিঙ্কি। তারা দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে থাকার একপর্যায়ে সঞ্জয়কে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন পিঙ্কি। কিন্তু সঞ্জয় তার আগের সংসার বাঁচাতে সম্ভবত গত বছর জুনে হত্যা করেন পিঙ্কিকে এবং মৃতদেহ রেখে দেন একটি ফ্রিজে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, সঞ্জয় পতিদার গত পাঁচ বছর পিঙ্কির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন এবং তারা প্রায়ই একসঙ্গে বসবাস করতেন। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে, পিঙ্কি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। এই বিষয়টি পিঙ্কিকে হত্যা করতে প্ররোচিত করে। পরে সঞ্জয় তার এক বন্ধুর সহায়তায় তাকে হত্যা করেন।

দিওয়াসের পুলিশ সুপার (এসপি) পুনীত গেহলট বলেন, ‘পিঙ্কির বয়স ৩০-এর মধ্যে। আমাদের সন্দেহ, তাকে ২০২৪ সালের জুনে হত্যা করা হয়েছিল। ফ্ল্যাটটি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করলে প্রতিবেশীরা বাড়ির মালিককে খবর দেন। পরে তিনি ফ্ল্যাটটি খুলে দেখতে পান ফ্রিজের মধ্যে পচাগলা মরদেহ। সঞ্জয় ফ্রিজটির সব তাকগুলো সরিয়ে ফেলে সেখানে ভরে রেখেছিলেন ওই নারীকে।’

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।