প্রচ্ছদ জাতীয় মেঘনায় বিএনপির ইফতার আয়োজনে আওয়ামী লীগ নেতার ভূমিকা, ক্ষোভ স্থানীয়দের

মেঘনায় বিএনপির ইফতার আয়োজনে আওয়ামী লীগ নেতার ভূমিকা, ক্ষোভ স্থানীয়দের

মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর ইউনিয়নের ১, ২, ৩ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিল নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বুধবার (২৬ মার্চ) বিকেলে ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত এই ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া।

তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, ইফতার আয়োজনের মূল দায়িত্ব পালন করেছেন মানিকারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান (মতি) মেম্বার। স্থানীয়দের মতে, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসেম মেম্বারের ঘনিষ্ঠ এবং একই গোত্রের হওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মতি মেম্বারকে ইফতার আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

স্থানীয় একাধিক বিএনপি নেতাকর্মী অভিযোগ করেছেন, ওয়ার্ডের অধিকাংশ বিএনপি কর্মী ইফতার মাহফিল সম্পর্কে জানতেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, ‘আমাদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি, এমনকি আয়োজনের ব্যাপারেও কিছু জানানো হয়নি। অথচ আমাদের দলের ইফতার মাহফিলের দায়িত্ব পালন করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী হয়রানিমূলক মামলার শিকার হলেও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসেম মেম্বারের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। কারণ, হাসেম মেম্বারকে শেল্টার দিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন, যিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।

এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাঁরা বলছেন, একজন ‘ঘোর আওয়ামী লীগ নেতা’ কীভাবে বিএনপির ইফতার মাহফিল আয়োজনের দায়িত্ব পান, তা বোধগম্য নয়।

তবে ইফতার মাহফিলে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস উদ্দিন কমান্ডার, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুল অদুদ মুন্সী, সদস্য সচিব আজহারুল হক শাহীন, মেঘনা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মতিন, মেঘনা উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জালাল আহমেদ, হোমনা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার উজ্জ্বল, কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিন ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম বাবু।

এই ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে, যা আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।