প্রচ্ছদ সারাদেশ মৃত্যুর আগে দু’জন খুনির নাম বলে গেলেন মুরাদ

মৃত্যুর আগে দু’জন খুনির নাম বলে গেলেন মুরাদ

সারাদেশ: যশোরের নোয়াপাড়ায় যুবলীগ নেতা মুরাদ হোসেনকে দুবৃত্তরা কুপিয়ে হ ত্যা করেছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১ টায় অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া বেঙ্গল মিল গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো মামলাও হয়নি। তবে নিহত মুরাদের বাবা সাহাবুল ইসলামের দাবি, মৃত্যুর আগে দুজন খুনির নাম বলে গেছেন তার ছেলে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষ্যাৎকারে তিনি এ দাবি করেন। সাহাবুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বড় ছেলে মুরাদ হোসেনের সঙ্গে অতীতে রাজনীতি নিয়ে এলাকার দুজনের গ্যাঞ্জাম-ফ্যাসাদ ছিল। তারাই আমার ছেলেকে মেরেছে। মারা যাওয়ার আগে আমার ছেলে তাদের নাম বলে গেছে।’ সাহাবুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বিগত দিনে ওই খুনিরা এলাকার কয়েকজনকে মারধর করেছে। একজন দীর্ঘদিন বাইরে ছিল। ওরা কোপাকুপি ও চাঁদাবাজি করে। মুরাদের বাবা আরও বলেন, ‘সবার সঙ্গে কথা বলে মামলা করতে দেরি হচ্ছে। তবে আজই মামলা করব।’

প্রসঙ্গত, গত রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার নওয়াপাড়া বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তরা যুবলীগ নেতা মুরাদ হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে খুলনায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মুরাদ নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ জানায়, রাতে নওয়াপাড়া বাজার থেকে তরফদার পাড়ার বাড়ির দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন মুরাদ। পথে কবরস্থানের কাছে তার ওপর হামলা করা হয়। অস্ত্রের আঘাতে তিনি জখম হন। মুরাদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, মুরাদ হোসেনের সঙ্গে এলাকার একটি পক্ষের দ্বন্দ্ব ছিল। এই দ্বন্দ্বের কারণে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ পরিকল্পিতভাবে মুরাদ হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনার পর মুরাদ হোসেন দুই ঘণ্টার মতো বেঁচে ছিলেন। এই সময় তিনি হত্যায় জড়িত কয়েকজনের নাম বলে গেছেন। আমরা ইতিমধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি। তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।.ওসি আরও বলেন, মুরাদের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত এজাহার পাওয়া যায়নি। লিখিত এজাহার পেলে এ ব্যাপারে মামলা রেকর্ড করা হবে। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় ধর্ষণ, মাদক, অপহরণ, নাশকতা ও মারামারির ৯টি মামলা রয়েছে।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।