হেড লাইন: জামিন পাওয়ায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এম এ মান্নান হাসপাতাল ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তির সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ (ছাড়পত্র) দিয়েছে চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড। মুক্তি পেয়ে সাবেক মন্ত্রী মান্নান কালবেলাকে বলেন, আমি ভীষণ ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত। ভীষণ অসুস্থও। আমার বিশ্রামের খুব প্রয়োজন। আমি কৃতজ্ঞ, আদালতের কাছে ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমার আইনজীবীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। কারাগারে আমার সঙ্গে ভালো আচরণ করা হয়েছে। আমার নিজের উপজেলা শান্তিগঞ্জের সব মানুষ আমার প্রতি সহমর্মী ছিলেন, তারা রাজপথে বিক্ষোভও করেছেন, তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ।
এর আগে বুধবার বিশ হাজার টাকা মুচলেকায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের জামিন মঞ্জুর করেছেন সুনামগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন। জামিন শুনানী শেষে বয়স্ক ও অসুস্থতা বিবেচনায় আদালত এই আদেশ দেন বলে আসামিপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন। তবে শুনানিতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা অংশগ্রহণ করেন নি। তারা দাবি করেছেন, অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তার জামিন শুনানী হয়েছে, এ কারণে তারা বর্জন করেছে শুনানী।
সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানকে মানসিক ও শারিরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় গেল শনিবার সুনামগঞ্জ কারাগার থেকে আদালতের নির্দেশে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। পরে তাকে সিলেটের বাদাঘাট কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ওখানে তার চিকিৎসার জন্য ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এর আগে এম এ মান্নানকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |