বিশ্বের অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। গত ৩ সপ্তাহের মধ্যে যা সর্বনিম্নে নেমে গেছে। চলতি বছরের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত সময়ে তিনবার সুদের হার কমাতে পারে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এই প্রত্যাশায় মার্কিন মুদ্রা বড় দর হারিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও সিএনবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি তুলনামূলক চড়া রয়েছে। তবু আর কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ করতে চাচ্ছে না ফেড। সম্প্রতি ইউএস ব্যাংকটির নীতি-নির্ধারকরা এই সংকেত দিয়েছেন। ফলে গ্রিনব্যাক চাপে পড়েছে।
আলোচ্য কার্যদিবসে মার্কিন ডলার সূচক স্থিতিশীল আছে। বর্তমানে যা ১০৩ দশমিক ২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের দিন তা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ নিম্নমুখী হয়েছিল। গত ১ মার্চের পর যা সর্বনিম্ন। ওই দিন ডলার সূচক ছিল ১০৩ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট। সেই থেকে সূচকটি নিম্নমুখী হয়েছে দশমিক ৬৪ পয়েন্ট।
বিনিয়োগকারীরা ধারণা করছেন, আসন্ন জুনে সুদের হার কমাবে ফেড। সেটা হতে পারে তিন চতুর্থাংশ পয়েন্ট। সেই সম্ভাবনা রয়েছে প্রায় ৭৫ শতাংশ। একদিন আগেও যা ছিল ৫৯ শতাংশ। ফলে ইউএস ডলারের মান ব্যাপক নিম্নগামী হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ। প্রতি অসি ডলারের দর স্থির হয়েছে শূন্য দশমিক ৬৬০৮ ইউএস ডলারে। গত ১ সপ্তাহের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
পরিপ্রক্ষিতে ইউরো আরও শক্তিশালী হয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মূল মুদ্রাটির দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ১ দশমিক ০৯৩৫৭ মার্কিন ডলারে। গত ১ সপ্তাহের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি। একই কর্মদিবসে স্টার্লিংয়ের শক্তি বেড়েছে। ব্রিটিশ মুদ্রাটির মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ২৭৯৮ ইউএস ডলারে। গত ১ সপ্তাহের মধ্যে তা সর্বোচ্চ।
এই অবস্থায় জাপানি মুদ্রার উত্থান ঘটেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ দশমিক ৬৩ ইয়েনে। নিউজিল্যান্ডের কারেন্সির মূল্যমান বেড়েছে শূন্য দশমিক ০৮ শতাংশ। কিউই ডলার বিকোচ্ছে শূন্য দশমিক ৬০৮৭ মার্কিন ডলারে।
প্রিন্সিপাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান বৈশ্বিক কৌশলবিদ সিমা শাহ বলেন, সত্যিই সুদের হার কমাতে চায় ফেড। যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশটিতে বেকারত্ব কমেছে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতেই এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে তারা।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |