
বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনটি মূলত বিএনপির। বিগত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন বাদে এখানে বিএনপি পাঁচবার এবং আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী একবার করে বিজয় লাভ করে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং তাদের লোকজন মাঠে নেমেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে নিজেদের প্রার্থিতার কথা জানান দিচ্ছেন।
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, এ আসনে ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের কাসিম উদ্দিন আহমেদ এবং ১৯৭৯ সালে বিএনপির আবুল হাসানাত চৌধুরী নির্বাচিত হন। সীমানা পরিবর্তনের পর ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোজাফফর হোসেন, ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টির সৈয়দ মাসকুরুল আলম চৌধুরী, ১৯৯১ সালে জামায়াতের মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান, ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিএনপির রেজাউল বারী ডিনা, ১৯৯৬ সালের জুনে বিএনপির একেএম হাফিজুর রহমান, ২০০১ সালের রেজাউল বারী ডিনা, ২০০৮ সালে একেএম হাফিজুর রহমান নির্বাচিত হন।
এ আসনে জামায়াতের একক প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি থেকে অন্তত ছয়জন টিকিট চাইবেন। এদের মধ্যে ২৭ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান কার্যালয়ে ডাক পেয়েছিলেন তিনজন। তারা বলছেন, দল যাকে মনোনয়ন দেবে তিনিই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নাগরিক ঐক্য থেকে কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে চূড়ান্ত প্রার্থী করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবেও একজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে প্রার্থী যতই হোক নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীর মধ্যে।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মীর শাহে আলম, জেলা বিএনপির সহসভাপতি এমআর ইসলাম স্বাধীন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি পিপি আবদুল বাছেদ, উপজেলা বিএনপির সদস্য সাবেক শিবগঞ্জ পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান মতিন, বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার ডা. ফিরোজ মাহমুদ ইকবাল ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট একেএম হাফিজুর রহমান। এর মধ্যে গুলশান কার্যালয়ে ডাক পেয়েছিলেন মীর শাহে আলম, আবদুল বাছেদ ও এমআর ইসলাম স্বাধীন।
এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী জেলা শূরা সদস্য, সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি জামাল পাশা এবং গণঅধিকার পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম সরকার রেজাও প্রার্থী হবেন। ৫ আগস্টের পর অসংখ্য মামলায় জর্জরিত তিনবারের সাবেক এমপি (সবশেষ বিতর্কিত তিন নির্বাচন) জেলা জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাও প্রার্থী হতে পারেন। জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান বলেন, আমি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। জনগণ আমাকে চাইছেন, তাই ইনশাআল্লাহ বিজয়ী হব।
সূত্র : যুগান্তর









































