
আর্ন্তজাতিক: এক ব্যক্তির গলায় ব্যথা, কণ্ঠটাও কেমন কর্কশ হয়ে গিয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা গেলো ওই ব্যক্তির গলার সঙ্গে আটকে ছিল একটি জীবন্ত জোঁক। পিলে চমকে দেয়ার মতো এমন ঘটনা ঘটেছে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে। স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম ভিএন এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ঘটনার শুরু এক মাস আগে। ৫৩ বছর বয়স্ক ওই ব্যক্তি জমিতে পাতা ইঁদুর ধরার একটি ফাঁদ ঠিক করতে গিয়ে একটু ব্যথা পান। ক্ষতস্থানে রস লাগানোর জন্যে এক মুঠো বুনো ঘাস মুখে নিয়ে চিবান। তারপর নরম ওই বস্তুটি ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দেন রক্ত বন্ধের জন্য। এর কিছুদিন পরে লোকটি তার গলায় ব্যথা অনুভব করেন। তার মনে হয় যে ভেতরে কিছু নড়ছে। তখন একটি আয়নার সামনে গিয়ে পরীক্ষা করে দেখলেন গলার ভেতরে কালো একটা কিছু আটকে আছে। পরে তার কণ্ঠে কেমন কর্কশ ভাব চলে আসে এবং কাশির সঙ্গে রক্ত বের হতে শুরু করে। এ অবস্থায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ন্যাশনাল হসপিটাল অব এন্ডোক্রিনোলজিতে যান তিনি।
হাসপাতালের চিকিৎসক ও একটি বিভাগের উপপ্রধান হা মান হাং গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জানান, এটি একটি বিরল ঘটনা। চিকিৎসকেরা লোকটির শ্বাসনালির কাছে একটি অস্বাভাবিক বস্তুর উপস্থিতি আবিষ্কার করেন। অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগের পর রোগীর শরীর থেকে ৬ সেন্টিমিটার একটি জীবন্ত জোঁক বের করেন তারা। হাং বলেন, জোঁকের আকার সাধারণত ছোট হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত গ্রহণ করলে এরা দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং হুমকি হয়ে ওঠে। এ ধরনের প্রাণীর শরীরে প্রবেশ করা এড়াতে মানুষের উচিত বন-জঙ্গলে ঘাস-পাতা না খাওয়া বা পানি পান না করা।