মাদ্রাসার ভেতরে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময় চার সন্তানের জনক হাফেজ মাওলানা মুফতি মাহমুদুল আলম ও দু-সন্তানের জননী হাসিনা বেগমেকে হাতেনাতে ধরে বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় জনতা।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মধ্যরাতে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের উত্তর ধানকোড়া দারুল আহকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
মাহমুদুল আলমের বাড়ি কাশিয়ানী উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে ও হাসিনা বেগমের বাড়ি উত্তর ধানকোড়া গ্রামে। মুফতি মাহমুদুল আলম ৪ ছেলে-মেয়ের বাবা ও হাসিনা বেগম ২ ছেলে-মেয়ের মা।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এলাকাবাসী বলছেন, বৃহস্পতিবার রাতে কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের উত্তর ধানকোড়া দারুল আহকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসার হুজুর হাফেজ মাওলানা মুফতি মাহমুদুল আলম হাসিনা বেগম নামে দু-সন্তানের জননীকে নিয়ে মাদ্রাসার ভিতরে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন। এমন খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ওই দুজনকে হাতেনাতে ধরে বিয়ে পড়িয়ে দেন।
তবে ওবায়দুর রহমান নাজিম নামের এক ব্যক্তি বলেন, হাফেজ মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান কাশিয়ানী উপজেলার ধানকোড়া গ্রামের জনৈক হাসিনা বেগম নামের ওই মহিলাকে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে বিবাহ করেন। বৃহস্পতিবার সে তার বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে তার ইমামতির এলাকায় রাত্রে বেলায় আসে এবং তিনি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সেই প্রতিষ্ঠানে স্ত্রীর সাথে কথা বলতে থাকে। এমতাবস্থায় ওই এলাকার কিছু মানুষ যারা তার দ্বিতীয় বিবাহের কথা জানে না, তারা ওই বউকে দিয়ে আবার দ্বিতীয়বার কাবিন করায়, অথচ তার অনেক আগেই কাবিন হয়েছে। সুতরাং ঘটনাটি ভালোভাবে না জেনে মাওলানার মান-ইজ্জত সম্মান নষ্ট করার জন্য একটি কুচক্রীমহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের ছবি পোস্ট করে চরম মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে।
এই স্ত্রীর সাথে কাবিনের প্রমাণসহ যাবতীয় কাগজপত্র আছে বলে দাবি করেন তিনি।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |