প্রচ্ছদ অপরাধ ও বিচার মা-মেয়েকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন গৃহকর্মী আয়েশা

মা-মেয়েকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন গৃহকর্মী আয়েশা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা–মেয়েকে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশা (২০) ও তার স্বামী জামাল সিকদার রাব্বিকে (২৫) গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর থানা–পুলিশ। গৃহকর্মীকে গ্রেফতারের পর হত্যাকাণ্ড ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মা-মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যার বর্ণনাও দিয়েছে আয়েশা। মোহাম্মদপুরে লায়লা আফরোজ ও তার মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে ছুরকাঘাতে হত্যা করা হয়। মোহাম্মদপুরে লায়লা আফরোজ ও তার মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে ছুরকাঘাতে হত্যা করা হয়। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার চরকয়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চুরির ঘটনা নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছে গৃহকর্মী আয়েশা। পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন বাসার মালামাল চুরি করে নেয়ার সময় লায়লা আফরোজের কাছে আয়েশা ধরা পড়ে। একপর্যায়ে লায়লা আফরোজ তাকে আটকে পুলিশে ফোন দিতে গেলে আয়েশা ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে তাকে হত্যা করে। মায়ের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে মেয়ে নাফিজা বিনতে আজিজ দৌড়ে ড্রয়িংরুমে এসে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়।

ওই সময় গৃহকর্মী তাকেও ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে, এরপর স্কুলড্রেস পরে পালিয়ে যায়। আয়েশার স্বামী রাব্বির বরাতে পুলিশ আরও জানায়, মা-মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল না আয়েশার। স্বর্ণের গয়না ও কিছু মালামাল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আয়েশাকে পেছন থেকে ধরে ফেলেন লায়লা। ধরা পড়ার ভয়ে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করে আয়েশা। সুরতহাল প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তার মেয়ে নাফিসার শরীরে ছিল ৪টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন। দুপুরে মোহাম্মদপুর জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন সময় সংবাদকে বলেন, ‘তথ্য প্রযু‌ক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভি‌ত্তিতে গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তি‌নি নল‌ছি‌টি এলাকায় তার দাদা শ্বশুর বাড়িতে আত্ম‌গোপনে ছিলেন।’ গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।