হেড লাইন: বিএনপিবিহীন নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে ভোটার উপস্থিতির বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এজন্য নেয়া হচ্ছে নানা কৌশল। এরই অংশ হিসেবে এবার ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নির্বাচনের দিন যানবাহন চলাচলের নিষেধাজ্ঞা থাকছে না বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। গতকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মোস্তাফিজুর রহমান এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, এবার নির্বাচন কমিশনের মতামত নিয়ে আমরা যে সার্কুলার (বিজ্ঞপ্তি) দিয়েছি; সেখানে যানবাহনের ওপর আগে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেটা শিথিল করা হয়েছে।
যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিলের কারণ প্রসঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে একজন মানুষের ভোটকেন্দ্রে যেতে তার একটা যানবাহন লাগে। যেসব যানবাহন মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে অ্যালাউ (চলাচলের অনুমতি) করা হয়েছে। এটা সার্কুলার হয়তো পেয়ে যাবেন এবং প্রাইভেট কার অ্যালাউড, সিএনজিচালিত অটোরিকশা অ্যালাউড। মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস এবং আরও কিছু যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। রেগুলার রুটের বাস ও পাবলিক সার্ভিস বাসও এবার চলাচল করবে উল্লেখ করে সচিব বলেন, ভোটারদের যাতায়াতে বাধা থাকলে তারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। ঢাকায় প্রাইভেট কার বন্ধ রাখা হলে মানুষ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যাবেন না। ওদিকে গত কয়েক বছর ধরে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বেশ কম ছিল। গত বছরে অনুষ্ঠিত হওয়া কয়েকটি সিটি কর্পোরেশন ও উপ-নির্বাচনে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশের বেশি ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়নি।
এমন পরিস্থিতিতে দেশ-বিদেশে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে নির্বাচন কমিশন ও ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা কৌশল। ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে ইসি’র পক্ষ থেকে ভোটারদের মোবাইলে প্রতিনিয়ত এসএমএস (ক্ষুদে বার্তা) পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানও করেছে ইসি। ভোটকেন্দ্রে না গেলে সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেয়ার হুমকিও দিয়েছেন বিভিন্ন নেতারা। এছাড়া ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর প্রত্যাশায় এবার বিদ্রোহী প্রার্থী হতে পেরেছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা। অন্যদিকে ভোট বর্জনের আহ্বান নিয়ে এবার দেশব্যাপী গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি করছে বিএনপি ও সমমনা দল। এমন পরিস্থিতিতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে ভোটের দিন যানবাহন চলাচলের অনুমতি দিলো জননিরাপত্তা বিভাগ। এদিকে এর আগে গত ২৪শে ডিসেম্বর ইসি জানিয়েছিল, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৬ই জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত থেকে ৭ই জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত কয়েক ধরনের যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব যানবাহনের মধ্যে আছে ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক। তবে কিছু ক্ষেত্রে এসব যান চলাচলে শিথিলতা থাকবে। এছাড়া ৫ই জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত থেকে ৮ই জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে, তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদন সাপেক্ষে সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক অথবা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল চলাচল করবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |