জাতীয়: নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে ভিসা নীতি আরোপের ক্ষেত্রে দেশ ভেদে কোনো পার্থক্য করে না যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। গতকাল স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে, একই ইস্যুতে কেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভিন্ন আচরণ করা হচ্ছে—এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বেদান্ত প্যাটেলের কাছে জানতে চাওয়া হয়, গত সেপ্টেম্বরে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করেছিল যে, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্নকারী ব্যক্তিরা’ নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধের মুখোমুখি হবে। কিন্তু আপনারা পাকিস্তানের ক্ষেত্রে একই ঘোষণা দেননি। দুই দেশের মধ্যে একই বিষয়ে ভিন্ন আচরণ কেন?
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি না যে, কোনো পার্থক্য আছে। আমরা স্রেফ বিষয়টি (পাকিস্তানের ওপর ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ) এখনো পর্যালোচনা করে দেখিনি…।’
এ পর্যায়ে প্রশ্নকর্তা আবারও জানতে চান, তো কোনো ব্যক্তি যদি ব্যক্তি নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করে বা হস্তক্ষেপ করে তাহলে আপনারা কী করবেন? জবাবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেন, আমি এখানে বিষয়টি পর্যালোচনা করব না। প্রতিটি দেশই আলাদা এবং আমি এখান থেকে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা জানাতে পারব না। তবে আবারও বলতে চাই, আমরা বাংলাদেশ এবং অবশ্যই পাকিস্তানসহ সারা বিশ্বে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই।
বেদান্ত প্যাটেল এ সময় মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি ও গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার স্মরণ করিয়ে দিয়ে আরও বলেন, ‘যখন আমরা দেখব যে, এই অঞ্চলের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের বিবৃত অভিপ্রায় অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে উঠছে তখন আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করব। আমরা আগেও যেমনটা করেছি।’
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |