প্রচ্ছদ জাতীয় ভারতের আধিপত্যবাদ বিরোধী শক্তির শীর্ষে তারেক রহমান

ভারতের আধিপত্যবাদ বিরোধী শক্তির শীর্ষে তারেক রহমান

ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও একপক্ষীয় নীতির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে অবস্থান নেওয়ায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।এমনটাই দাবি করেছে নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র। ঝুঁকিতে থাকা অন্তত ৫০ জন রাজনৈতিক নেতা, ছাত্রনেতা, সাংবাদিক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের তালিকায় তারেক রহমানের নাম শীর্ষে রাখা হয়েছে।

নিরাপত্তা সূত্রগুলোর মতে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি, তিস্তা পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যা ও অসম বাণিজ্য ইস্যুতে তারেক রহমানের ধারাবাহিক ও কঠোর বক্তব্যই তাকে প্রধান টার্গেটে পরিণত করেছে। আন্তর্জাতিক ফোরাম, ভার্চুয়াল সভা এবং দলীয় নীতিনির্ধারণী বক্তব্যে ভারতের ভূমিকা নিয়ে তার স্পষ্ট অবস্থান দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে।

গোয়েন্দা পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, তারেক রহমানকে ঘিরে হুমকির ধরন বহুমাত্রিক। সরাসরি শারীরিক ঝুঁকির পাশাপাশি ডিজিটাল নজরদারি, অনলাইন চরিত্রহনন, ভুয়া তথ্য প্রচার এবং ঘনিষ্ঠজনদের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টির চেষ্টার তথ্যও পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকদের মতে, এটি একটি পরিকল্পিত মনস্তাত্ত্বিক চাপ প্রয়োগের কৌশল।

নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেন, তারেক রহমান শুধু একটি রাজনৈতিক দলের নেতা নন, বরং ভারতীয় আধিপত্য বাদ বিরোধী রাজনীতির একটি প্রতীকী মুখে পরিণত হয়েছেন। ফলে তার বিরুদ্ধে যেকোনো হুমকি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্যও ঝুঁকি তৈরি করতে পারে

নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমান কেবল একটি রাজনৈতিক দলের নেতা নন, বরং ভারতকেন্দ্রিক আঞ্চলিক রাজনীতিতে বাংলাদেশের সার্বভৌম স্বার্থের প্রশ্নে একটি প্রতীকী কণ্ঠে পরিণত হয়েছেন। দেশের ভেতরে ও আন্তর্জাতিক পরিসরে তার বক্তব্য নিয়মিত আলোচনার জন্ম দিচ্ছে, যা তাকে সমর্থকদের কাছে জনপ্রিয় এবং সমালোচকদের কাছে সংবেদনশীল করে তুলেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের আধিপত্যবাদবিরোধী অবস্থান নেওয়া অন্তত ৫০ জন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতার নাম নিরাপত্তা ঝুঁকির আলোচনায় এলেও, প্রভাব ও গুরুত্বের দিক থেকে তারেক রহমানকে শীর্ষে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছে একাধিক নিরাপত্তা সূত্র।

সূত্রগুলো বলছে, তার বিরুদ্ধে সরাসরি শারীরিক হুমকির পাশাপাশি ডিজিটাল নজরদারি, অনলাইন অপপ্রচার এবং রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার প্রচেষ্টার তথ্যও পর্যবেক্ষণে এসেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রশ্নে “নীরব কূটনীতি”র বাইরে এসে প্রকাশ্য রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েছে। এতে করে ভারতের আধিপত্যবাদবিরোধী শক্তিগুলো একটি স্পষ্ট নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা পাচ্ছে বলে তারা মনে করেন।

তারেক রহমানের পাশাপাশি আরও কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা, ছাত্রনেতা ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এই অবস্থানের কারণে আলোচনায় থাকলেও, আন্দোলনের কৌশল, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এবং রাজনৈতিক প্রভাব—এই তিন বিবেচনায় তারেক রহমানই বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুখ বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী রাজনীতি আগামী দিনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আরও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। আর সেই রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে তারেক রহমানের অবস্থান দিন দিন আরও সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে।