বোবা ব্যক্তিদের ওপরও নামাজ পড়া ফরজ। কারণ তারাও ইসলামের সব বিষয়ে শরয়ি দায়িত্বাধীন। তবে, ইসলামি আইনবিদরা এ বিষয়ে একমত যে, বোবা বা কথা বলতে অক্ষম ব্যক্তি থেকে ইবাদতের কথন বা পঠন রহিত হয়ে যাবে। এমনকি তার তাকবির ও কেরাতে ঠোঁট নাড়ানোও ওয়াজিব নয় বলে মত দিয়েছেন অধিকাংশ আলেম।
মালেকি, হাম্বলি ও হানাফি মাজহাবের বিশুদ্ধ মতানুযায়ী, তার জন্য ঠোঁট নাড়ানো ওয়াজিব নয়; বরং মনে মনে তাকবির বলবে। কেননা ঠোঁট নাড়ানো তার ক্ষেত্রে অহেতুক কাজ। আর ইসলামি শরিয়ত অহেতুক কাজ করার নির্দেশ দেয় না। (আল মাউসুআতুল ফিকহিয়া: ১৯/৯২)
বোবা ব্যক্তি কীভাবে নামাজ পড়বে—এ ব্যাপারে আরব বিশ্বের সর্বোচ্চ ফতোয়া কমিটিকে জিজ্ঞেস করা হলে তারা উত্তরে বলেন, এমন ব্যক্তি নিজ সাধ্যানুপাতে নামাজ আদায় করবে। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোনো কাজের ভার দেন না। অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ তোমাদের অসুবিধায় ফেলতে চান না। আল্লাহ তাআলা আরো বলেছেন, আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান। আল্লাহ আরো বলেন, অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় করো। (ফতোয়া লাজনাতিদ্দায়িমা: ৬/৪০৩)
সুতরাং বোবা ব্যক্তির পক্ষে যেটা অসম্ভব, নামাজের মধ্যে সেটা করা জরুরি নয়, বরং নামাজের অন্য কাজ যেগুলো তার পক্ষে যা যা সম্ভব সেগুলো যথাযথ আদায় করবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |