প্রচ্ছদ জাতীয় বিমানের কেবিন ক্রুদের হোটেলের বাইরে থাকা নিষিদ্ধ

বিমানের কেবিন ক্রুদের হোটেলের বাইরে থাকা নিষিদ্ধ

বিদেশে দায়িত্ব পালনের সময় শৈথিল্য, আত্মীয়ের বাসায় থাকা কিংবা অনুমতি ছাড়া ঘোরাফেরা— এমন নানা অভিযোগের পর এবার কেবিন ক্রুদের চলাফেরায় কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

সম্প্রতি ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগ থেকে জারি করা নতুন নির্দেশনায় কেবিন ক্রুদের জন্য হোটেল ছাড়ার সময়, ঘোরাফেরা, এমনকি ছুটির সময় শহর ত্যাগ—সবকিছুতেই কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে।

বিমানের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, এই ধরনের নির্দেশনা পূর্বেও ছিল। এবার তা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে জারি করা হয়েছে।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিদেশের ফ্লাইটে দায়িত্ব পালন করা সব কেবিন ক্রুকে অবশ্যই কোম্পানি নির্ধারিত হোটেলে থাকতে হবে। আত্মীয়-স্বজনের বাসা বা অন্য কোথাও অবস্থান করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ছুটির সময় শহর ত্যাগেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

কোনো জরুরি প্রয়োজনে শহর ত্যাগ করতে হলে সংশ্লিষ্ট ক্যাপ্টেনকে আগে থেকে জানিয়ে অনুমতি নিতে হবে। একইভাবে, দিনের বেলায় পর্যটন বা ঐতিহাসিক স্থানে ঘুরতে চাইলে তাতেও ক্যাপ্টেনের অনুমতি আবশ্যক। রাত ১০টার মধ্যে হোটেলে ফেরাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সম্প্রতি কেবিন ক্রু ও পাইলটদের মধ্যে কিছু নিয়ম লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। কেউ কেউ বিনা অনুমতিতে বিদেশে অবস্থান অব্যাহত রাখার চেষ্টাও করেছেন। এতে বিমানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান।

উল্লেখ্য, বিমানের অভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন সাইফুজ্জামান গুড্ডু অন্টারিওর লিনজি শহরে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ঘোরাঘুরির সময় হ্রদে ডুবে মৃত্যুবরণ করেন।

পাশাপাশি টরন্টো ফ্লাইটে থাকা এক কেবিন ক্রু সম্প্রতি হোটেল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পরে তাকে ফিরিয়ে এনে শোকজ করা হয়েছে এবং আপাতত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট থেকে সরিয়ে ঘরোয়া রুটে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এইসব ঘটনার প্রেক্ষিতে বিমানের পক্ষ থেকে কড়াকড়িভাবে নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।