
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তকরণে জোরেশোরে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। অক্টোবরে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ এই রাজনৈতিক দলটি। প্রার্থী বাছাইয়ের পাশাপাশি সমমনাদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি ও শরিকদের মনোনয়নের বিষয়েও দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চায় বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা।
দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব নবীন ও প্রবীণ উভয় প্রজন্মকে একসঙ্গে যুক্ত করে নির্বাচনী প্রার্থী নির্ধারণে কাজ করছেন। তবে এবারের নির্বাচনে তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেন-জি ভোটারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বিএনপি তরুণ নেতৃত্বকেও মনোনয়নে অগ্রাধিকার দেবে বলে জানা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শতাধিক তরুণ সম্ভাব্য প্রার্থী ইতোমধ্যে নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন—আনিন্দ ইসলাম অমিত, আমিনুল হক, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, নাসিরউদ্দিন অসিম, ইশরাক হোসেন, নিপুন রায় চৌধুরী, আব্দুল কাদির ভূঁইয়া, রকিবুল ইসলাম বকুল, খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, সাইদ আল নোমান, ইসরাফিল খসু, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান, বজলুল করিম চৌধুরী, আবেদ কাজী, রনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, মনজুরুল করিম রনি, আনোয়ার আলদিন খন্দকার, মারুফ হোসেন, সাইদুর রহমান, মির্জা ইয়াসিন আলী প্রমুখ।
ঢাকা বিভাগে অগ্রগতি
ঢাকা বিভাগে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—
ঢাকা-৩: নিপুন রায় চৌধুরী
ঢাকা-৪: তানভীর আহমেদ রবিন
ঢাকা-৬: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন
ঢাকা-৭: ইসহাক সরকার ও হামিদুর রহমান হামিদ
ঢাকা-১০: ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসিম ও শেখ রবিউল আলম
ঢাকা-১৫: মামুন হাসান
ঢাকা-১৬: আমিনুল হক
ঢাকা-১৮: এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন
এছাড়া গাজীপুর-১ আসনে কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, গাজীপুর-২ এ অধ্যাপক এমএ মান্নানের ছেলে এম মনজুরুল করিম রনি, গাজীপুর-৫ এ ফজলুল হক মিলন আলোচনায় রয়েছেন।
মুন্সিগঞ্জ-২ এ আব্দুস সালাম আজাদ, মানিকগঞ্জ-১ এ প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, নারায়ণগঞ্জ-২ এ নজরুল ইসলাম আজাদ ও মাহমুদুর রহমান সুমন, নারায়ণগঞ্জ-৩ এ আজহারুল ইসলাম মান্নান, নারায়ণগঞ্জ-৪ এ মশিউর রহমান রনি, নরসিংদী-১ এ খায়রুল কবির খোকন, নরসিংদী-৩ এ আকরামুল হাসান, নরসিংদী-৪ এ আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, নরসিংদী-৫ এ ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল ও ইকবাল হোসেন শ্যামল, কিশোরগঞ্জ-৪ এ ডা. ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী লাকি, কিশোরগঞ্জ-৬ এ মোহাম্মদ শরিফুল আলম, টাঙ্গাইল-১ এ জুবায়ের আল মাহমুদ রিজভ, টাঙ্গাইল-৩ এ মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম ও ওবায়দুল হক নাসির, টাঙ্গাইল-৫ এ সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল-৬ এ রবিউল আওয়াল লাভলু, টাঙ্গাইল-৭ এ দিপু হায়দার, গোপালগঞ্জ-১ সেলিমুজ্জামান সেলিম খান আলোচনায় আছেন।
এছাড়া কুড়িগ্রাম, বগুড়া বা ঢাকার যেকোনো একটি আসন থেকে রুহুল কবির রিজভী প্রার্থী হতে পারেন।
সিলেট বিভাগে সক্রিয় তরুণরা
সিলেট-২ আসনে হুমায়ুন কবির, সিলেট-৪ এ মিফতা সিদ্দিকী, সিলেট-৫ এ আশিকউদ্দিন চৌধুরী ও ফাহিমাল চৌধুরী, সিলেট-৬ এ ডা. এনামুল হক চৌধুরী ও ইমরান আহমেদ চৌধুরী, হবিগঞ্জ-১ এ তালহা চৌধুরী ও শেখ সুজাত মিয়া, হবিগঞ্জ-২ এ আহমেদ আলী মুকিব, হবিগঞ্জ-৪ এ সামী আক্তার শিপা, মৌলভীবাজার-১ এ শরিফুল হক সাজু, মৌলভীবাজার-২ এ বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু, সুনামগঞ্জ-১ এ মাহবুবুর রহমান ও কামরুজ্জামান কামরুল, সুনামগঞ্জ-৩ এ এমএস সাত্তার ও কায়সর এম আহমেদ, সুনামগঞ্জ-৪ এ দেওয়ান জয়নুল জাকিরিন ও নুরুল হক নূর আলোচনায় রয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগ
চট্টগ্রাম-২ এ সাংবাদিক কাদেরগণী চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ এ ব্যারিস্টার মীর হেলাল, চট্টগ্রাম-৭ এ হুম্মাম কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১০ এ সাইদ আল নোমান, চট্টগ্রাম-১১ এ ইসরাফিল খসু, চট্টগ্রাম-১২ এ সৈয়দ সাদাত আহমেদ, চট্টগ্রাম-১৬ এ মিসকাতুল চৌধুরী পাপ্পু, চট্টগ্রাম-৩ এ রফিউদ্দিন ফয়সাল ও মিজানুর রহমান মিল্টন আলোচনায় রয়েছেন।
ফেনী-১ এ রফিকুল আলম মজনু, কক্সবাজার-৩ এ রাশিদুল হক রাসেল ও ফাহিমুর রহমান ফাহিম, কক্সবাজার-৪ এ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, লক্ষ্মীপুর-১ এ আবু নাসের শেখ, লক্ষ্মীপুর-৩ এ শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নোয়াখালী-১ এ ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মামুনুর রশিদ মামুন, নোয়াখালী-৫ এ বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, নোয়াখালী-৬ এ মাহবুবুর রহমান শাম্ম আলোচনায়।
খুলনা বিভাগ
খুলনা-১ এ নজরুল ইসলাম পাপুল, খুলনা-৩ এ রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ এ আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা-৬ এ আনোয়ার আলদিন, বাগেরহাট-৪ এ ডা. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, বাগেরহাট-৩ এ কৃষিবিদ শাইমুর রহমান শাম্ম, বাগেরহাট-২ এ শেখ ফরিদুল ইসলাম, কুষ্টিয়া-১ এ শরিফউদ্দিন জুয়েল, কুষ্টিয়া-২ এ ডা. সাইফুল ইসলাম, মাগুরা-২ এ রবিউল ইসলাম নয়ন, মাগুরা-১ এ আলী আহমেদ, ঝিনাইদহ-২ এ ইব্রাহিম রহমান বাবু ও আসাদুজ্জামান আসাদ, ঝিনাইদহ-৩ এ আমিরুজ্জামান খান শিমুল, ঝিনাইদহ-৪ এ সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মেহেরপুর-১ এ কামরুল ইসলাম, নড়াইল-২ এ মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা-৪ এ আমিনুর রহমান আমিন, চুয়াডাঙ্গা-২ এ মাহমুদ হাসান খান, যশোর-১ এ হাসান জহির, যশোর-২ এ সাবিরা নাজমুল মুন্নি, যশোর-৩ এ আনিন্দ ইসলাম অমিত, যশোর-৫ এ মো. মুতাছিম বিল্লাহ সাবেক সহ সভাপতি ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ, যশোর-৬ এ কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ আলোচনায় রয়েছেন।
বরিশাল বিভাগ
বরিশাল-১ এ জহিরউদ্দিন স্বপন ও আকন কুদ্দুসুর রহমান, বরিশাল-৪ এ রাজিব আহসান, বরিশাল-২ এ দুলাল হোসেন ও সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বরিশাল-৫ এ সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, ভোলা-৪ এ নুরুল ইসলাম নয়ন, ভোলা-১ এ গোলাম নবী আলমগীর হায়দার আলী লেলিন, পটুয়াখালী-২ এ মনির হোসেন, পটুয়াখালী-৩ এ হাসান মামুন, পটুয়াখালী-৪ এ এবিএম মোশাররফ হোসেন, পিরোজপুর-১ এ আলমগীর হোসেন ও হাফিজুল আল আসাদ, পিরোজপুর-৩ এ এমআর মামুন খান, ঝালকাঠি-২ এ মাহবুবুল হক নান্য নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয়।
কুমিল্লা-২ এ অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, কুমিল্লা-৪ এ এফএম তারেক মুন্সি, কুমিল্লা-৫ এ হাজী জসিমউদ্দিন ও এটিএম মিজানুর রহমান, কুমিল্লা-৯ এ আবুল কালাম আলোচনায় আছেন।
এছাড়া কুমিল্লার যেকোনো আসন থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে ডা. খন্দকার মারুফ হোসেন প্রার্থী হতে পারেন।
চাঁদপুর-২ এ ডা. সরকার মাহবুব আলম শাম্ম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এ ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ এ নাজমুল হুদা খন্দকার ও আহমেদ ভূঁইয়া আলোচনায় রয়েছেন।
রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহী-২ এ অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী শাহ, রাজশাহী-৩ এ শফিকুল হক মিলন ও রায়হানুল আলম রায়হান, রাজশাহী-৪ এ অধ্যাপক কামাল হোসেন, রাজশাহী-৫ এ মাহমুদ হাবিবা, আবু বকর সিদ্দিক ও গোলাম মোস্তফা, রাজশাহী-৬ এ আনার হোসেন উজ্জ্বল।
সিরাজগঞ্জ-৫ এ আমিরুল ইসলাম খান আলিম, নাটোর-১ এ তাইফুল ইসলাম টিপু, ডা. ইয়াসিন আরাফাত রাজন ও ফারজানা শারমিন পুতুল, নাটোর-২ এ রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বগুড়া-৫ এ ফজলুর রহমান খোকন, জয়পুরহাট-২ এ প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৬ এ গোলাম সারোয়ার, সিরাজগঞ্জ-৩ এ রকিবুল করিম খান পাপ্পু, পাবনা-৩ এ কৃষিবিদ হাসান জারিফ তৌহিন, পাবনা-৫ এ এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস আলোচনায় আছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগ
ময়মনসিংহ-১ এ সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স, ময়মনসিংহ-২ এ মোতাহার হোসেন তালুকদার, ময়মনসিংহ-৩ এ আহমেদ তায়েবুর রহমান হিরন, ময়মনসিংহ-৬ এ করিম সরকার ও তানভীর হোসেন রানা, ময়মনসিংহ-৯ এ মামুন বিন আব্দুল মান্নান, ময়মনসিংহ-১১ এ মরশেদ আলম আলোচনায়।
জামালপুর-১ এ রশিদুজ্জামান মিল্লাদ, জামালপুর-৪ এ ব্যারিস্টার সলিমা বেগম আরনি, জামালপুর-৩ এ মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নেত্রকোনা-৩ এ মোহাম্মদ মোস্তফা জামাল সেলিম, নেত্রকোনা-২ এ ডা. আনোয়ারুল হক, নেত্রকোনা-৫ এ শহিদুল্লাহ ইমরান, নেত্রকোনা-১ এ ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আলোচনায় রয়েছেন।
রংপুর বিভাগ
রংপুর-১ এ ওয়াহিদুজ্জামান মাবু, রংপুর-২ এ মাহফুজুন নবী ডন ও এডভোকেট গোলাম রসুল বকুল, রংপুর-৩ এ শামসুজ্জামান শামু ও আনিসুর রহমান লাকু, রংপুর-৪ এ আবসার আলী, রংপুর-৫ এ ডা. জহিরুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-২ এ মির্জা ফয়সাল আমিন, ঠাকুরগাঁও-৩ এ আব্দুল ওয়াদুদ নূর আলিফ, দিনাজপুর-১ এ মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু, দিনাজপুর-২ এ মামুনুর রশিদ কালু ও এডভোকেট আব্দুল আজিজ, দিনাজপুর-৫ এ ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান, নীলফামারি-৪ এ বেবি রাজনীন, কুড়িগ্রাম-১ এ ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী, কুড়িগ্রাম-৪ এ মমতাজ বেগম লিপি, গাইবান্ধা-১ এ ডা. জিয়াউল ইসলাম, গাইবান্ধা-২ এ মাহমুদুন্নবী টিটুল, গাইবান্ধা-৩ এ রফিকুল ইসলাম রফিক, গাইবান্ধা-৪ এ অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, পঞ্চগড়-১ এ ব্যারিস্টার নওশাদ জামির, পঞ্চগড়-২ এ ফরহাদ হোসেন আজাদ আলোচনায় রয়েছেন।