প্রচ্ছদ হেড লাইন বিএনপির অফিসে সাংবাদিককে মা’রধরের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন ভিপি সাদিক

বিএনপির অফিসে সাংবাদিককে মা’রধরের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন ভিপি সাদিক

আজ রবিবার বিএনপির গুলশান অফিসে আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিক জাহিদুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে ফোন এবং আইডি কার্ড কেড়ে নেওয়া এবং মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের উপর এধরণের নগ্ন হস্তক্ষেপ গণতন্ত্র ও মুক্তমতচর্চার জন্য হুমকিস্বরূপ।

এদিকে ছাত্রশিবিরের পাঠানো প্রেস রিলিজ সংবাদে প্রকাশ করায় আরটিভির সাব এডিটর মাহফুজ উদ্দিন খানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর আরটিভির নিয়ন্ত্রণ নেন বিএনপি নেতা এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান অ্যাপোলো। তার নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

তথ্য ও মত প্রকাশের যে স্বাধীনতার জন্য আমরা এত রক্ত দিলাম, সেই আত্মত্যাগকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ ও সাংবাদিকদেরকে শত্রু মনে করার ফ্যাসিবাদী সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে পুনরায় গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার অপপ্রয়াস দেখতে পাচ্ছি।

আওয়ামী লীগের ফেলে যাওয়া উচ্ছিষ্ট ফ্যাসিবাদী সংস্কৃতির হাল ধরার চেষ্টা যে বা যারাই করবেন, নতুন প্রজন্মের কাছে তারা দেশ ও গণতন্ত্রের শত্রু হিসেবেই পরিগণিত হবেন।

উল্লেখ্য, বিএনপির গুলশান অফিসে আমার দেশ রিপোর্টারের ও বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে আজ বিকালে আমার দেশ-এর স্টাফ রিপোর্টার জাহিদুল ইসলামের ওপর হামলা হয়েছে। হামলায় জাহিদুল গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীরা তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।

আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) বিএনপির সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ডাকা হয় বিএনপি অফিসে। অন্যান্য সাংবাদিকদের সাথে আমার দেশের রিপোর্টারও সংবাদ কাভার করতে সেখানে যান। এক পর্যায়ে সভাকক্ষের দরজায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ভিডিও মোবাইলে ধারণ করতে শুরু করেন জাহিদ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গুলশান অফিসের কিছু লোক।

জানা যায়, মিডিয়া সেলের সঙ্গে সম্পৃক্ত আমরা বিএনপি পেজের ক্যামেরাপারসন ফয়সলের নেতৃত্বে একদল লোক জাহিদের ওপর হামলা চালায়। তারা জাহিদকে বিএনপির গুলশান অফিসের দোতলার সিঁড়িতে নিয়ে যায় এবং তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে আছড়ে ভেঙ্গে ফেলে। আমার দেশের পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেয়।

এ সময় হামলাকারীরা বলতে থাকে- আমার দেশ বিএনপির বিরুদ্ধে রিপোর্ট করছে। এখানে বিএনপির দোষ খুঁজতে রিপোর্টার পাঠিয়েছে। এক পর্যায়ে জাহিদের সাথে রিপোর্ট কাভার করতে যাওয়া বিএনপি বিটের অন্য পত্রিকার সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধারে এগিয়ে যান। জাহিদকে হামলাকারীর হাত থেকে উদ্ধার করেন।