
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
আমার দেশ পত্রিকার প্রতিবেদক জাহিদুল ইসলাম জানান, তিনি সকাল থেকে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ভেতরে প্রবেশ করে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে হট্টগোলের সময় কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে মারধর করেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমি ভিডিও করছিলাম। হঠাৎ ৩–৪ জন এসে আমাকে টেনে নিয়ে যায়। তারা আমার মোবাইল ভেঙে ফেলে, প্রেস কার্ড কেড়ে নেয়। আমি জানাই যে ভিডিও করা নিষেধ হলে আমি মুছে ফেলব, কিন্তু কোনো কথা না শুনেই তারা আমাকে মারধর করে কার্যালয়ের বাইরে বের করে দেয়।”
এ সময় ডেইলি স্টার-এর সাজ্জাদ, নয়া দিগন্ত-এর অসীম আল ইমরান এবং জাগো নিউজ-এর খালিদ হোসেনও হেনস্তার শিকার হন বলে উপস্থিত সাংবাদিকেরা জানান।
ঘটনার পর বিএনপি বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা বলেন, “একজন সাংবাদিককে রক্তাক্ত করা, মোবাইল ফোন ভাঙচুর ও আইডি কার্ড কেড়ে নেওয়া—এসব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টি নিয়ে সবাইকে একসঙ্গে প্রতিবাদ জানাতে হবে।”
বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল বলেন, “ঘটনাটি দুঃখজনক। আমরা ইতিমধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। দায়ীদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনাটি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরও জানানো হয়েছে। তাঁরা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। আমি শীর্ষ মহলকে জানিয়েছি।