
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের নৌ অবরোধ ভাঙতে ত্রাণ ও মানবিক বার্তা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’।
এই বহরের সবচেয়ে বড় জাহাজ ‘কনসায়েন্স’-এ অবস্থান করছেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম। শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, ‘কনসায়েন্স’ ইতোমধ্যে তার আগে রওনা হওয়া অন্য আটটি জাহাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং সবগুলো একযোগে গাজার উদ্দেশে এগিয়ে যাচ্ছে।
শহিদুল আলম জানান, উচ্চ গতিসম্পন্ন ‘কনসায়েন্স’ নৌযানটি ৩০ সেপ্টেম্বর ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করে। দ্রুতগতিতে এগিয়ে গিয়ে এটি সামনে থাকা নৌবহরকে ধরে ফেলে এবং সংহতি রক্ষায় এখন ধীরগতিতে চলছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ফ্রিডম কোয়ালিশনের আরও দুটি জাহাজের অবস্থান এখনও নিশ্চিত নয়।
এই নৌবহরটি আন্তর্জাতিক সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (FFC) ও থাউজ্যান্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (TMTG)-এর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন হলো ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে বৈশ্বিক মানবিক প্রচেষ্টা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর অংশীদার জোটগুলোর একটি। পূর্বের মিশনগুলো ইসরায়েলি নৌবাহিনী ব্যর্থ করে দিলেও, অংশগ্রহণকারীরা এবারও তাদের লক্ষ্যে অবিচল।
তার পোস্টে শহিদুল আলম লেখেন, “থাউজ্যান্ড ম্যাডলিনস একটি অনন্য ধারণা। বিশ্বনেতাদের নিষ্ক্রিয়তা ও কপট ভূমিকার কারণে সাধারণ মানুষ নিজেরাই পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে মানবতার পক্ষে একত্রিত হওয়া সবচেয়ে বড় সমুদ্রযান বহর।”
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ২৫টি দেশের সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মী এই মিশনে অংশ নিচ্ছেন। ‘কনসায়েন্স’ জাহাজে খাদ্য সহায়তা না থাকলেও এর লক্ষ্য ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধের অবসান ঘটানো এবং গাজায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
গাজার দিকে অগ্রসর হওয়ার দৃঢ় সংকল্প জানিয়ে শহিদুল আলম বলেন, “আমরা ‘কনসায়েন্স’-এর যাত্রীরা অবরোধ ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যদি আমাদের আটকায়, অন্যরা এগিয়ে আসবে। দমন–পীড়ন কখনোই জনগণের শক্তিকে দমাতে পারেনি—ইসরায়েলও পারবে না। ফিলিস্তিন মুক্ত হবেই।”
উল্লেখ্য, ইসরায়েল ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ২৭০ জনেরও বেশি সাংবাদিককে হত্যা করেছে এবং বিদেশি সংবাদকর্মীদের গাজায় প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে। অনেক সাংবাদিক এখনো আটক বা কারাবন্দি।










































