রাউজানের নোয়াপাড়া চৌধুরীহাট পালোয়ান পাড়ার বাসিন্দা কামরুল হাসান টিটু বিএনপির কর্মী। ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে দুপায়ে পায়ে গুলি করে পুলিশ। কেটে ফেলা হয় এক হাতের আঙুল। যাতে তার জীবনে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। বর্তমানে অন্যের সাহায্য ছাড়া কোনো কিছুই করতে পারেন না কামরুল হাসান টিটু। কারণ গুলির কারণে কেটে ফেলতে হয় একটি পা। আঘাতগ্রস্ত আরেকটি যেন থেকেও নেই। ফলে চলতে হয় হুইল চেয়ারে।
টিটু জানান, মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে তুলে এনে কয়েক ঘণ্টা পুলিশের গাড়িতে ঘুরিয়ে চোখ বেঁধে তার ওপর চালানো হয় এই নৃশংসতা। এজন্য তিনি দায়ী করেন রাউজান থানার সাবেক ওসি প্রদীপ এবং এসআই টুটুলকে। সাবেক এমপি ফজলে করিমের নির্দেশেই তারা এ কাজটি করেছে বলে দাবি করেন তিনি। টিটু বলেন, আমি জনগণের কাছে বিচার দিলাম। পুলিশ কিভাবে তাদের হেফাজতে নেয়ার পরে আমার উপর এমন নৃশংসতার চালায়। আমার হাত কেটে হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি দেয়, পায়ে গুলি করে।
স্বামী পঙ্গু হয়ে যাওয়ার পর দুই ছেলে আর তিন মেয়ে নিয়ে অকুল সাগরে পড়ে যান স্ত্রী পারভীন আক্তার। কোনোভাবে মেয়েদের বিয়ে দিলেও এখনো অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ দুই ছেলের। তিনি বলেন, আমার সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়, এক বেলা খেলে আরেক বেলারে জন্যে চিন্তা করা লাগে। মেয়ের কাছে চাইতে হয়, মূলত ওই আমার সংসার চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ফজলে করিম চৌধুরী। এখন নির্যাতনে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচার চান টিটু। যদিও টিটুর বিরুদ্ধেও থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে দাবি থানা পুলিশের।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |