ময়মনসিংহের নান্দাইলে প্রেমে রাজি না হওয়ায় তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতনে অসুস্থ মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয় বলে নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. ফরিদ আহমেদ জানান।
এদিকে, অপহরণের পর ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে গত ৯ সেপ্টেম্বর মেয়েটির বাবা ময়মনসিংহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নালিশি মামলা করেন।
এলাকাবাসী মোহাম্মদ হোসাইন (২২) নামে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, তার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেন উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের কচুরি গ্রামের মোহাম্মদ হোসাইন। কিন্তু হোসাইনের প্রস্তাবে রাজি না হলে গত ১ জুন ১৪ বছর বয়সি মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, দুই মাস নারায়ণগঞ্জের একটি এলাকায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে ডান চোখ ক্ষত করে দেওয়ার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর মেয়েটিকে বাড়ির পাশের সড়কে ফেলে যায় অপহরণকারী।
নিহতের বাবা বলেন, আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মেয়েকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চোখের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার আগারগাঁও চক্ষু হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলেন চিকিৎসকরা। ১৫ দিন চিকিৎসা শেষে মেয়ের ডান চোখ বাঁচাতে কর্ণিয়া তুলে ফেলা হয়। সেই কর্ণিয়া স্বজনরা ফ্রিজের মধ্যে রেখে দেন পরে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে প্রতিস্থাপনের জন্য। এ অবস্থায় তারা তাদের মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসেন। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মেয়েটি মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েটিকে নির্মমভাবে অত্যাচার করে হত্যা করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। হোসাইনকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, ছাত্রীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।আগে যে মামলাটি হয়েছিল সেটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হলে সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |