
রাজধানীর পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে গুলি করে একজনকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। যাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তার পরিচয় জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী জানান, নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুন।
এদিকে নিহত মামুনের স্ত্রী রিপা আক্তার জানান, আমার স্বামী ব্যবসা করতেন। আজ কোর্টে তার হাজিরা ছিল। আমরা জানতে পাই, আমার স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আছেন। পরে ঢাকা মেডিকেলে হাসপাতালে এসে আমার স্বামীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।
তিনি আরও জানান, আমাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদরের মোবারকপুর কলোনি এলাকায়। তার বাবার নাম এসএম ইকবাল হোসেন। আমরা বাড্ডার আফতাবনগর এলাকায় থাকতাম। আমাদের দুই কন্যাসন্তান রয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় একদল সন্ত্রাসী। সেই গুলিতে ভুবন চন্দ্র শীল নামে একজনের মৃত্যু হয়েছিল।
ওই ঘটনার পর পুলিশ বলেছিল, শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈফ মামুনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছিলেন কারাবন্দি শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমনের লোকজন। ওই গুলি লেগেছিল ভুবনের মাথায়। ওই ঘটনার কয়েক মাস আগে শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন জামিনে মুক্ত হন।
জানা গেছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও তারিক সাইফ মামুন একসময় ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক ছিলেন। তাদের গড়ে তোলা বাহিনীর নাম ছিল ‘ইমন-মামুন’ বাহিনী। তারা দুজনই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামুনের বিরুদ্ধে আলোচিত হিমেল মার্ডার, রহিম মার্ডার, আদালত চত্বরে মোর্শেদ হত্যাকাণ্ড মামলা রয়েছে। এর মধ্যে মোর্শেদ খুনের মামলায় মামুনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল। পরে হাইকোর্ট থেকে খালাস পান মামুন।











































