এক সময়ের হোটার্স ওয়েট্রেস ও বিউটি কনটেস্টের প্রতিযোগী এবং পর্নোগ্রাফি ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাজেটের সিনেমায় অভিনয় করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিনেত্রী জেসি জেনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার একটি বাড়ি থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে তাকে। তার বয়স হয়েছিল ৪৩ বছর।
সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওকলার মুরে মুর পুলিশ বিভাগের লেফটেন্যান্ট ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কো জানিয়েছেন, মাদকের ওভারডোজের কারণ হিসেবে মৃত্যু হতে পারে অভিনেত্রী জেসি জেনের। সেখানে আরও একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তাদের মৃত্যুর কারণ তদন্তাধীন রয়েছে।
স্বর্ণকেশী চুল, ধনুকের মতো বাঁকানো ভ্রু ও প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্বের এ অভিনেত্রী বিংশ শতকের শুরুর দিকে পর্নোগ্রাফিকে ইন্টারনেট শিল্পতে রূপান্তর করেছিলেন। এরপর অবশ্য কিছু মূলধারারও কাজ করেছেন।
এদিকে, ফক্স নাইনের প্রতিবেদন বলছে, জেসি জেন পর্নোগ্রাফি সিনেমার ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘পাইরেটস’-এ অভিনয় করেছিলেন। যেটিকে উইডলিকে সর্বকালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পর্নোগ্রাফি সিনেমা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এছাড়া ২০০৪ সালের ‘স্টারস্কি অ্যান্ড হাচ’-এর রিমেকে এইচবিও সিরিজ ‘এনটুরেজ’-এর একটি পর্বে অতিথি শিল্পী ছিলেন জেসি জেন। আবার ‘বেওয়াচ: হাওয়াইয়ান ওয়েডিং’-এ একটি ক্যামিও দৃশ্যেও দেখা গিয়েছিল তাকে।
পাবলিক রেকর্ড অনুসারে, ১৯৮০ সালের ১৬ জুলাই সিনথিয়া অ্যান হাওয়েল হিসেবে টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থ শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন জেসি জেন। তার মা-বাবা ওকলাহোমা শহরে বসতি স্থাপন করছিলেন। তারা টিঙ্কার এয়ার ফোর্স বেজে কাজ করতেন। ২০০৬ সালের এক সাক্ষাৎকারে জেসি জেন সম্পর্কে এমনটাই জানিয়েছিলেন মিসেস জেন। যিনি কিনা ১৯৯৮ সালে মুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছিলেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |