
জেন-জিদের টানা ২ দিনের আন্দোলনের জেরে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, তিনি কাঠমান্ডুতে তার বাসভবন থেকে একটি হেলিকপ্টারে উঠছেন। এর গন্তব্য কোথায় তা পরিষ্কার নয়।
অনলাইন এনডিটিভি এ খবর দিলেও কাঠমান্ডু পোস্ট জানায়, পার্লামেন্ট ভবন সহ গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে নিরাপত্তা রক্ষায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সামরিক ব্যারাকে নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। কেপি শর্মা ওলি সেখানে তার মন্ত্রীদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তবে আরেক গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তা হলো, ওলি পদত্যাগ করার ফলে ক্ষমতা থাকছে কার হাতে।
কেউ কেউ বলছেন, ক্ষমতা নিয়ে নিতে পারে সেনাবাহিনী। তবে এমন দাবির পক্ষে বিশ্বস্ত কোনো সমর্থন মেলেনি। নিশ্চিত করে বলা যায় না আসলেই কি ঘটছে।
এর আগে কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। তারা সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্টের বাসভবন, মন্ত্রী-এমপিদের বাসভবনে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠা জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়ার পুরো নেপাল যেন আগুনে জ্বলছে এমন এক আবহ তৈরি হয়। সঙ্গে পার্লামেন্ট ভবন সহ বিভিন্ন স্থানে আগুনের শিখা। এসব দেখেই কেউ কেউ বলতে থাকেন, ওলির সামনে কোনো বিকল্প নেই। তাকে পদত্যাগ করতেই হবে। তিনি অবশেষে তা-ই করলেন। তবে অনেক দেরি করে ফেলেছেন। তার চেয়ে বড় বিষয় হলো পদত্যাগ করার পর তিনি এখন কোথায়?
জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন। অবশ্য দেশের ভিতর তার জন্য অবস্থান করা এখন ঝুঁকিপূর্ণ। তার বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। দৃশ্যত, নিজ দলের নেতারাও এখন সুযোগ বুঝে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে তিনি দেশে কার আশ্রয়ে থাকবেন! যদি দেশ ছেড়েই যান, তাহলে কোথায় আশ্রয় চাইতে পারেন- এমন অনেক প্রশ্ন এখন। এ মুহূর্তে এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব না।
সূত্র: সময়ের কণ্ঠস্বর









































