অপরাধ: নির্যাতন করায় মানিকগঞ্জের শিবালয়ে এক কলেজছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। উপজেলার উথলী ইউনিয়নের বর্ধমানকান্দি গ্রামে গত শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
কলেজছাত্রী শাহানাজ আক্তার (১৯) বর্ধমানকান্দি গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে। তিনি উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
এলাকাবাসী ও শাহানাজের নানা ইবাদুল্লা শেখ জানান, বর্ধমানকান্দি গ্রামের শিরিনা আক্তারের সঙ্গে প্রায় ২৫ বছর আগে একই গ্রামের জালাল উদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের মেয়ে শাহানাজের বয়স চার-পাঁচ বছর হলে তার মাকে তালাক দিয়ে বাবা অন্য নারীকে বিয়ে করেন। শাহানাজ সৎমায়ের ঘরে বাবার কাছেই থাকতেন।
শাহানাজকে দীর্ঘদিন নিয়মিত খাবার না দেওয়া থেকে শুরু করে শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলেন বাবা জালাল উদ্দিন ও সৎমা মরিয়ম আক্তার। ২৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে শাহানাজকে মারধর করে বাবা বিষ খেয়ে মরতে বলেন। মেয়েটি নির্যাতন সইতে না পেরে বিষপান করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শাহানাজের শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে চিকিৎসক দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। কিন্তু বাবা ঢাকায় না নিয়ে তাকে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই হাসপাতালেও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে আবারও মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার সময় শুক্রবার বিকেলে শাহানাজ মারা যান।
এ ব্যাপারে শাহানাজের নানা ইবাদুল্লা শেখ সোমবার শিবালয় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার পর জালাল ও মরিয়ম পলাতক রয়েছেন। যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে জালালের মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদুর রহমান জানান, শাহানাজকে নিয়মিত খাবার না দেওয়া ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে এলাকার মানুষের কাছে শুনেছেন। এ কারণে মেয়েটি নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। শিবালয় থানার ওসি রউফ সরকার বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |