আর্ন্তজাতিক: মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। তাঁর হাত পা বাঁধা ছবিও পাঠানো হয়েছে। তাঁকে মুক্ত করতে লাগবে ৩০ লাখ রুপি ( বাংলাদেশি টাকায় ৩৯ লাখ ৩১ হাজার টাকা)। এসব তথ্য পুলিশকে গিয়ে জানান এক বাবা। তবে পুলিশ পরে তদন্ত করে জানতে পারে ২১ বছর বয়সী ওই তরুণী নিজেই এই অপহরণের নাটক সাজিয়েছেন। এমন ঘটনা ভারতের রাজস্থানের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাজস্থানের কোটা শহরের পুলিশ কর্মকর্তা অমৃতা দুহান বলেন, তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, মেয়েটির সাথে কোনো অপরাধ ঘটেনি। তাঁর সঙ্গে কোনো অপহরণের ঘটনা ঘটেনি। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-প্রমাণ থেকে বলা যাচ্ছে যে, ঘটনাটি মিথ্যা। এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গত ১৮ মার্চ ওই তরুণীর বাবা এসে থানায় মামলা করেন। তদন্তে দেখা গেছে, ওই তরুণী দুই বন্ধুকে নিয়ে ইন্দোরে থাকছেন, যা তাঁদের বাড়ি থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে।
এরমধ্যে এক বন্ধু পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই তরুণী ও তাঁর বন্ধুরা মিলে পড়াশোনার জন্য বিদেশ যেতে চান। আর এ জন্য প্রয়োজন ছিল অর্থ। অভিযুক্ত তরুণীর মা গত বছরের ৩ আগস্ট তাঁর মেয়েকে কোটায় একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি করান। এর দুই দিন পর ওই নারী বাড়িতে চলে যান। পুলিশ বলছে, গত ছয় থেকে সাত মাস ধরে কোটায় ছিলেন না ওই তরুণী। এ সময় তিনি তাঁর বাবা-মাকে বিভিন্ন নম্বর থেকে কোচিং পরীক্ষার মিথ্যা ফল পাঠিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি অর্থের জন্য অপহরণের নাটক সাজান। বন্ধুদের সহায়তা নিয়ে তিনি তাঁর নিজের হাত-পা বাঁধা ছবি তুলে পরিবারের কাছে পাঠান এবং ৩০ লাখ রুপি মুক্তিপণ দাবি করান। পুলিশ কর্মকর্তা দুহান বলেন, ‘আমি ওই তরুণীকে বাড়িতে ফিরে আসতে এবং সাহায্যের জন্য নিকটস্থ থানায় যেতে অনুরোধ করেছিলাম।’
