হেড লাইন: পাকিস্তানের ১৬তম সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নওয়াজ শরিফ খাইবার পাখতুনখাওয়ার এনএ- ১৫ মানসেহরা আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন। এবারের নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে এটি আশ্চর্যজনক ঘটনা। কারণ ইতোমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে চতুর্থ মেয়াদে নওয়াজ শরিফের ক্ষমতায় আসার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিতে দেখা গেছে। এদিকে, দ্বিতীয় আসনটিতেও পিছিয়ে রয়েছেন নওয়াজ শরিফ। খবর সামা নিউজ।
জাতীয় পরিষদের নির্বাচনী এলাকা এনএ-১৫ মানসেহরা থেকে পাওয়া অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, নওয়াজ শরিফ এই আসনে ৬৩ হাজার ৫৪টি ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা গাস্তাসাপ পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৭১৩ ভোট। অর্থাৎ ১১ হাজার ৬৫৯ ভোটে পরাজিত হয়েছে তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তবে এই স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা গাস্তাসাপ ইমরান খানের সমর্থিত কি না তা স্পষ্ট করেনি দেশটির সংবাদমাধ্যম। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টিভি বলছে, প্রাথমিক গণনায় ১২৫ আসনে এগিয়ে রয়েছে পিটিআই সমর্থিতরা। অন্যদিকে ৪৪ আসনে এগিয়ে রয়েছেন নওয়াজের শরিফের দলের প্রার্থীরা। পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়।
‘অপ্রত্যাশিত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত’ এই ফলাফলকে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। নওয়াজ শরিফ দ্বিতীয় আরেকটি আসন লাহোরের এনএ-১৩০ তেও প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসমিন রশিদ। তবে সেখানেও পিছিয়ে রয়েছেন নওয়াজ শরিফ। এখন পর্যন্ত প্রকাশিত প্রাথমিক ফলাফলে ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬টি আসনে, নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন প্রার্থীরা ৫টি আসনে ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থীরা ৪টি আসনে জয় পেয়েছেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |