
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধদের দেখতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (২৬ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি বার্ন ইনস্টিটিউটে পৌঁছান। এরপর চিকিৎসকদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন।
প্রধান উপদেষ্টার আসার খবরে সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
এদিন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন জানান, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ২ শিশুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসাধীন চারজনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।
মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত / হতাহতের সর্বশেষ তথ্য জানাল জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট
দগ্ধদের সর্বশেষ অবস্থার কথা জানিয়ে ডা. নাসির উদ্দীন বলেন, ‘মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে দগ্ধ ২ রোগীকে শনিবার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তারা দুজনই শিশু। এ ছাড়া ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছে আরও চারজন৷ সিভিয়ার রোগী ৯ জন। আইসিউতে আছেন চারজন।’
ডা. নাসির উদ্দীন আরও বলেন, ‘ক্রিটিক্যাল রোগীদের একজন ভেন্টিলেশনে আছেন৷ আইসিইউ রোগী অবশ্যই ক্রিটিক্যাল রোগী।’
এর আগে গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আহতদের চিকিৎসায় চীন, ভারত ও সিঙ্গাপুরের মেডিকেল দল বাংলাদেশে এসেছে। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে আহদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন তারা।
যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনায় ওইদিনই উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। যে কমিটি দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করে প্রতিবেদন তৈরি করবে।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা উন্নত করতে এবং বিমান-সম্পর্কিত দুর্যোগ শূন্যে নামিয়ে আনতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।