প্রচ্ছদ জাতীয় দক্ষিণ সিটি মেয়রের মেয়াদ শেষ, শপথ নেওয়ার সুযোগ নেই : আসিফ

দক্ষিণ সিটি মেয়রের মেয়াদ শেষ, শপথ নেওয়ার সুযোগ নেই : আসিফ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুনদের শপথ নেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বুধবার (১৮ জুন) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন, সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমাদের আর শপথ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু কমিশন নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন বলছে, তারা গেজেট প্রকাশ করেনি অথচ ১৫ দিন পর এসে জানিয়েছে। তখন গেজেটের কার্যকারিতা শেষ হয়ে গেছে, ২০ দিন পার হয়ে গেছে। এক দিকে একটি অকার্যকর গেজেটকে আবার সিদ্ধান্ত হিসেবে ধরা হয়েছে এটা আমাদের জন্য খুব বিভ্রান্তিকর।

দক্ষিণ সিটি মেয়রের মেয়াদ শেষ, শপথ নেওয়ার সুযোগ নেই : আসিফ
উপদেষ্টার পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছেন : ইশরাক
আসিফ আরও বলেন, আপিল বিভাগ যেভাবে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, তাতে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ গেজেটটি কার্যকর থাকলেও ২০ দিন আগেই সেটি অকার্যকর হয়ে গেছে। অন্যদিকে আমাদের যে সিটি করপোরেশন, তার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। আমি নিজে আইনজ্ঞ না, তবে আমাদের মাননীয় আইন উপদেষ্টা বিষয়টি খুব ভালোভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি একজন প্রফেসর ও আইন বিশেষজ্ঞ। আইন মন্ত্রণালয় দেখেন, তিনি বিষয়টি যেমন ব্যাখ্যা করেছেন, আমি যতটুকু বুঝেছি, তা-ই বলছি।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তী যেসব ঘটনা ঘটেছে, তাতে মনে হয়েছে আমরা আরও পরিপক্বভাবে বিষয়টি সামাল দিতে পারতাম। এখন দেখা যাচ্ছে, এক ধরনের অচলাবস্থার মধ্যে পড়ে গেছে সিটি কর্পোরেশন। আগের মাসের তুলনায় গত মাসে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হয়েছে। এখন পুরোপুরি দখলদারির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কর্পোরেশনের অফিসগুলোও এক ধরনের দখলে চলে গেছে, ফলে আমরা সেবা দিতে পারছি না।

বিএনপির সঙ্গে সরকারের সম্পর্কে টানাপড়েন নেই দাবি করে তিনি বলেন, আপনারা জানেন, এখন আর আগের মতো টেনশন নেই। বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। তাতে সম্পর্ক অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। এই সৌহার্দ্যপূর্ণ অবস্থা ধরে রাখতে হলে সব পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।