প্রচ্ছদ সারাদেশ তিনি কোথায় পেলেন ঐ ৬০ লক্ষ টাকা, কাকে দিয়েছেন ঘুষ?

তিনি কোথায় পেলেন ঐ ৬০ লক্ষ টাকা, কাকে দিয়েছেন ঘুষ?

‘নগদ ৬০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে ওসির চেয়ার বসেছি। ফ্রিতে সেবা দিতে আসিনি। মন্ত্রী, এমপি, মেয়র বা নেতাদের দিয়ে তদবির করিয়ে কোনো লাভ হবে না।’ গত ৩০ মে ২০২৩ তারিখে একটি দৈনিকের সংবাদে এমন মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম। কথাটির সত্যতা কতটুকু সে ব্যপারে আমি এখানে বলতে চাই না। এ সংবাদটি দেখে আমার মনে কয়েকটি প্রশ্নের আবির্ভাব হয়েছে। শুধু সেগুলোর উত্তর জানার জন্য অধির হয়ে আছি।

সংবাদটির প্রতিবেদকের প্রতি আমার একটি অনুরোধ তিনি যেন এবার এটি নিয়ে আরেকটি সম্পূরক প্রতিবেদন করেন। সে সম্পূরক প্রতিবেদনে ওসি খায়রুল ইসলাম কাকে ৬০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন, কখন দিয়েছেন, তার মতো এমন ঘুষ আর কোন কোন ওসি দিয়েছেন। পুলিশের কোন চেয়ারে বসার জন্য কাকে কত টাকা ঘুষ দিতে হয় এমন কিছু তথ্য উঠে আসা দরকার।

দেশের ক্রান্তিকালের যে সময়টিতে বাজারে গেলে দ্রব্যমূল্যের কথা শুনে মানুষের কান্না এসে যায়, বিদেশি ঋণ পরিশোধে সরকার হিমশিম খেয়ে জনগণের ওপর অতিরিক্ত রাজস্বের চাপ সৃষ্টি করছে। ঠিক সে সময়েই খায়রুল ইসলামরা লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে ওসির চেয়ার কিনে নিচ্ছে। এসব চেয়ারের এজেন্সি করা দিয়ে বসেছেন। দেশের মানুষেও সে বিষয়ে জানার আগ্রহ সৃষ্টি হওয়া জরুরি।

সঙ্গে এ তথ্যও প্রকাশ হওয়া দরকার যে, খায়রুল ইসলাম ৬০ লক্ষ টাকা কোথায় পেলেন, কেন তাকে এত টাকা দিয়ে ওসির চেয়ার কিনতে হবে, সে চাকরি নেয়ার সময় তার বেতন ধরা হয়েছে কিনা। যদি তার বেতন ধরা হয় তাহলে ফ্রিতে সেবা দেয়ার কথা এখানে কেন আসলো।

খায়রুল ইসলামের মতো এমন লাখ টাকা দিয়ে চেয়ার দখল করা ওসি দেশে আর কতজন আছেন এ তথ্যও বেরিয়ে আসা দরকার। খায়রুল ইসলাম যেখানে বলেছেন ‘মন্ত্রী, এমপি, মেয়র বা নেতাদের দিয়ে তদবির করিয়ে কোনো লাভ হবে না’সেখানে এমন মন্ত্রী, এমপি বা জনপ্রতিনিধি দিয়ে জনগণের কি লাভ হবে? কেন জনগণ বিশাল অংকের রাষ্ট্রীয় ঋণের পাশাপাশি এমন মন্ত্রী-এমপি ও জনপ্রতিনিধিদের বছরের পর বছর পুষবেন?

খায়রুলের মত এভাবে জনগণের টাকায় পোষা কর্মচারিরা যখন দিনের পর দিন দায়িত্বে অবহেলা, দুর্নীতি ও নানা রকম অপকর্মে জড়িত হয়ে পরবর্তীতে যখন রাঘব-বোয়ালের রূপ ধরণ করেন তখন আর করার কিছুই থাকে না। সবকিছু তখন হাতের নাগাল থেকে অনেক দূরে চলে যায়। পরবর্তীতে সে কর্মচারিরাই জনগণের কাঁধে মহামারি আকারে ভর করে বসে। অথচ ক’দিন আগে এ খায়রুল ইসলামরা ছিল খুবই অসহায় ও দরিদ্র। একটি চাকরির জন্য দিন-রাত একাকার হয়ে হারাম ছিল তাদের ঘুম।

লেখক: সংবাদকর্মী

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।