
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে বরণ করতে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বড় পরিসরে সংবর্ধনার আয়োজন করেছে দলটি। রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় সে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে লাখো নেতা-কর্মী উপস্থিত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে সম্ভাব্য জনদুর্ভোগের কথা আঁচ করে অগ্রিম দুঃখপ্রকাশ করেছে দলটি।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটির আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘প্রিয় নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে যেসব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, সেজন্য সৃষ্ট অসুবিধা ও কষ্টের জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, তারেক রহমান এমন কোনো কর্মসূচিকে সমর্থন করেন না, যা জনদুর্ভোগের কারণ হতে পারে। তিনি রওনা হওয়ার সময় হিথ্রো বিমানবন্দরে প্রবাসী নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিত হতে নিষেধ করেছেন।’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশেও আমাদের কোনো কর্মসূচি যেন জনদুর্ভোগের কারণ না হয়, সেজন্য আমরা তার নির্দেশনা পালনের আন্তরিক চেষ্টার পরেও হয়ত শতভাগ প্রতিপালন করতে পারিনি। জনদুর্ভোগের জন্য আমরা অগ্রিম ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করছি।’
তারেক রহমান বৃহস্পতিবার কখন দেশে পা রাখবেন–সে তথ্য জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘‘আমাদের নেতা বাংলাদেশ বিমানের এক নিয়মিত ফ্লাইটে লন্ডন থেকে বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে আগামীকাল সকালে সিলেটে যাত্রা বিরতির পর বেলা ১১টা ২০মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবেন ইনশাআল্লাহ।’
প্রসঙ্গত, ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছিলেন। স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান কয়েকবার দেশে এলেও তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেননি।
সূত্র : বাংলা ভিশন










































