প্রচ্ছদ জাতীয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের পরিচয় দেওয়া সেই যুবক ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের পরিচয় দেওয়া সেই যুবক ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নন

আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতা হাবিবুর রহমান সাকিবের পক্ষে ভোট চাইতে এসে নিজেকে রোকেয়া হলের আবাসিক ছাত্র বলে পরিচয় দিয়েছেন বহিরাগত এক যুবক। এজিএস প্রার্থী মহিউদ্দিন রনির জেরার মুখে পড়ে তিনি ঢাকা কলেজের পরিচয় দেন। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মহিউদ্দিন রনি তার ফেসবুকে ‘ডাকসুর প্রচারণা চালাচ্ছে ছাত্রদলের রোকেয়া হলের এক ভাই’ শিরোনামে ভিডিওটি প্রকাশ করেন। মুহূর্তে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

তবে অনুসন্ধান থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ডাকসু প্রচারণায় যাওয়া মনিরুজ্জমান নামের ওই ব্যক্তি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নন। তিনি জামালপুর জেলার সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি আত্মীয় ও ঢাকা কলেজ প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য পাওয়া যায়।

মো. মনিরুজ্জামানের ভাতিজা রফিক বলেন, ‘সে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নন। মনির বর্তমানে ঢাকায় লিফলেট বিতরণের কাজ করেন। আমার সঙ্গে ঢাকার আজিমপুরের লালবাগের একটি মেসে থাকেন।’

এদিকে ভাইরাল ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে ঢাকা কলেজ প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের। পরবর্তীতে কলেজ প্রশাসন থেকে জানানো হয়, তিনি ঢাকা কলেজের কোন শিক্ষার্থী নয়। এ খবর শিক্ষার্থীরা জানার পর ক্ষোভে ফুঁসে উঠে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, উদ্দেশ্যপ্রণীতভাবে ঢাকা কলেজকে ছোট করার জন্যই মহিউদ্দিন রনি এই নাটক সাজিয়েছেন। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সার্বিক প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, ছাত্রদলের প্যানেলের সদস্য পদপ্রার্থী মো. হাসিবুর রহমান সাকিবের নিজের ফেসবুক আইডিতে লেখেন, হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার লিফলেট নিয়ে এক ছেলেকে প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে মহিউদ্দিন রনির নিজ প্রোফাইলে আপলোড করা ভিডিয়োতে। কিন্তু আমি তাকে চিনতে পারিনি। আমার লিফলেট বিভিন্ন হলে আমার ছোটো ভাইদেরকে দিয়ে রেখেছি প্রচারণার জন্য। আমি ওদের সাথেও যোগাযোগ করেছি কেউ দিয়েছে কিনা। তারা বলেছে এই লিফলেট কেউ দেয়নি।

তিনি আরও লেখেন, নির্বাচন কমিশনকে তদন্ত করতে বলবো এই বিষয়ে। বহুদিন পর কাঙ্ক্ষিত ডাকসু হচ্ছে। এই ডাকসু’র মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা সবসময় বজায় থাকুক। আমরা সবাই মিলে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী বিশ্ববিদ্যালয় গড়বো।